পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জনগণ বিএনপির ডাকে সাড়া দেবে না। যারা গণবিরোধী রাজনীতি করে, জনগণ তাদের পাশে থাকে না।
গতকাল শনিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ঈদের পর বিএনপি’র আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানে সরকারকে বিদায় জানানোর হুমকি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি ওইসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিগত দিনগুলোতে বিএনপি আন্দোলনের যে হুমকি দিয়েছিল, বর্তমানে সেটার ধারাবাহিতা ছাড়া কিছু নয়। ড. খন্দকার মোশারফ সাহেবসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ এমন বহু ঈদের পরে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাবেন- এমন কথা অন্তত ১২ বছর ধরে বলে আসছেন। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার এক বছর পর থেকেই এই ঈদের পরে, এই শীতের পরে, এই বর্ষার পরে, পরীক্ষার পরে- এরকম বহু হুমকি আমরা শুনে আসছি। খালি কলসি যে বেশি বাজে, তাদের এই হুমকিগুলোও ঠিক সেরকম’।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খন্দকার মোশারফ সাহেবও যে বক্তব্য রেখেছেন, আগামী ঈদের পরে জাতীয় ঐক্য করে, সরকারের পতন ঘটাবেন সেগুলো আগের বক্তব্যের ধারাবাহিকতা ছাড়া আরও কিছু নয়। মানুষ তাদের এই হুমকি শুনে হাস্যরস করে।
তিনি বলেন, তারা ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান-বাম, অতি বাম, সবার সন্নিবেশ ঘটিয়ে একটা জাতীয় ঐক্যের মতো করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সেই ঐক্য করে কোন লাভ হয়নি। সেটি একেবারে ফানুসের মত নিভে গেছে। কারণ উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষ শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাথে আছে, ১৪ দলীয় জোটের সাথে আছে। জনগণ বিএনপির ডাকে কখনও সাড়া দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।
ড. হাছান বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমাপে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে। আমি মনে করি, দেশ গণতন্ত্র সূচকে আরও অনেক ধাপ এগুতে পারতো। কারণ গণতন্ত্র সংহত করা শুধুমাত্র সরকারি দলের কাজ নয়। যারা বিরোধীদলের রাজনীতি করেন, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন, সরকারবিরোধী রাজনীতি করেন, তাদেরও দায়িত্ব এসব নিয়ে কথা বলার। বিএনপি যদি গণবিরোধী রাজনীতি না করতো, মানুষ ও গাড়িঘোড়া জ্বালাও- পোড়াও না করতো, হরতাল অবরোধের মাধ্যমে জনগণকে অবরুদ্ধ করার রাজনীতি না করতো, গণতন্ত্র সূচকে আমরা আরও বহু ধাপ এগুতে পারতাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।