পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারা পৃথিবীতে জিনিস পত্রের দাম বেশি। তার প্রভাব দেশে পড়ছে। দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই। ২০ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। তবে সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম যদি না কমে তাহলে দেশেও দাম নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।
গতকাল সচিবালয়ে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (আইএফএডি) কান্ট্রি ডিরেক্টর আর্নড হ্যামলার্সের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওই কথা বলেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, সারে আমরা সাবসিডি দিচ্ছি। কিন্তু কত দিচ্ছি? আগে যেটা ৯ হাজার কোটি ছিল, এখন সেটা দিতে হবে ২৮ হাজার কোটি টাকা। গম, আড়াইশো ডলারের বেশি কোনোদিনও প্রতি টনের দাম ছিল না, এটা এখন সাড়ে চারশো ডলার।
মন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে শিপিং কস্ট বা অন্য পণ্যের দাম যদি কমে না আসে কৃষিপণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। এ বছর কিন্তু পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক আছে। আলুর দাম বেশ কম। কিন্তু শাক-সবজি দাম...মানুষের মুদ্রাস্ফীতির একটি প্রভাব আছে। এ কারণেই সব কিছুর দাম বাড়ার প্রভাব কৃষিপণ্যের উপরেও পড়েছে। চাষিরা যদিও খুশি, বেশি দামে বিক্রি করে।
খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকার ব্যর্থ হবে কেন? ২০ লাখ টন খাদ্য মজুত আছে। সরকারের গুদামে কোনো দিন ২০ লাখ টন চাল মজুত ছিল না। দুঃখজনকভাবে সারা পৃথিবীতে জিনিসপত্রের দাম বেশি। তার একটি প্রভাব দেশেও পড়ছে।
উৎপাদন ও মজুত পর্যাপ্ত হওয়ার পরও চাল, সবজিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বেশি, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো উৎপাদন বাড়ানো। সারা পৃথিবীতে করোনার কারণে একটু মূল্যস্ফীতি হয়েছে।
কন্টেইনার ভাড়া আগে যেটা ছিল, তার চেয়ে বেড়েছে। এখানে ট্রাকের ভাড়াও বেড়েছে। সার্বিকভাবে অর্থনীতির ওপর বিরাট একটা প্রভাব পড়েছে।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানি করা যায় কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু চাল আমদানি করলে তো নিয়ন্ত্রণ হবেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তো করতে দিচ্ছেন না। আমদানি করলে হয়তো দাম কিছুটা কমবে। কিন্তু উনি বলছেন, আমি তো ১০ টাকা দরে চাল দিচ্ছি, অতি দরিদ্রদের জন্য। আমি ভিজিএফ, ওএমএসে চাল দিচ্ছি। গরিব মানুষের তো কোনো সমস্যা নেই। ধনীরা যারা চাল খেতে চান, দাম দিয়ে খান। আমার চাষিদেরও তো দাম পেতে হবে। সরু চালের দামটাই বেশি, মোটা চালের দাম কমতির দিকে। এটাই আমাদের লক্ষ্য যাতে গরিব মানুষের কষ্ট না হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।