পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশ সদস্যদের জন্য বিছানার চাদর ও বালিশের কভার কিনবে পুলিশ সদর দপ্তর। সে কাপড়ে যে রং ব্যবহার করা হবে, সেই রঙের কারখানা দেখতে জার্মানি যাচ্ছেন দুজন পুলিশ ও একজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। এই পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন পুলিশ প্রধান আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, অন্যজন তাঁর স্টাফ অফিসার মাসুদ আলম। এ দলের আরেকজন হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন খলিফা। গত সোমবার ওই তিন কর্মকর্তার সফরসংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে।
জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, বালিশের কভারসহ ডাবল সাইজের এক লাখ বিছানার চাদরের জাহাজীকরণ নিশ্চিত করতে এই তিন কর্মকর্তা ৯ দিনের জন্য জার্মানি যাচ্ছেন। পাশাপাশি তাঁরা কারখানা পরিদর্শন করবেন। ২ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁরা এই সফর করবেন। এই সফরে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
জার্মানি সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে আজ বুধবার উপসচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘এই কেনাকাটার চুক্তি বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছুই জানে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুধু তাঁদের বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, গত ২৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপ্টেন্স টেস্টের (এফএটি) জন্য জার্মানি যাওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একজন মনোনীত প্রতিনিধি দিতে বলা হয়। এই কেনাকাটার জন্য নাইস ফেব্রিকস প্রসেসিং লি. নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে পুলিশ। প্রতিষ্ঠানটি নোমান গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
চুক্তির বিষয়টি জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) জাহাঙ্গীর আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কত টাকার চুক্তি, কাদের সঙ্গে হয়েছে—এসব বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। যা জানার পুলিশ সদর দপ্তর জানে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (লজিস্টিক) তওফিক মাহবুব বলেন, ‘তিনি পুলিশ সপ্তাহ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এই কেনাকাটা দেখেছেন অতিরিক্ত ডিআইজি লজিস্টিক আতাউল কিবরিয়া। অবশ্য তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।