পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতীয় জাল রুপী চক্রের চারজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। দুই দিনের অভিযানে ডেমরা ও হাজারীবাগ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ জাল ভারতীয় রুপীর ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল রুপী কৌশলে ঢাকায় নিয়ে আসতো। শুঁটকি, মাছের বস্তায় বিভিন্ন পণ্যের ভেতর, ব্যক্তি বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা দিয়ে তা পাচার করা হতো ভারতে। গ্রেফতারকৃত আমানউল্লাহ ভূঁইয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (সুনামগঞ্জ জেলা) গাড়ি চালক। আরেকজন কাজল রেখা আমান উল্লাহর দ্বিতীয় স্ত্রী।
ডিএমপির ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার জানান, গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিম রাজধানীর ডেমরা এবং হাজারীবাগ এলাকায় গত ৭ ও ৮ তারিখ ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে ভারতীয় রুপি ‘সুপারনোট’ কারবারের আন্তর্জাতিক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে। সেই সাথে ১৫ লাখ জাল ভারতীয় রুপী এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পাচারকারী চক্রের চার সদস্য হচ্ছেন আমানউল্লাহ ভূঁইয়া, তার স্ত্রী কাজল রেখা, ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কেরামত ও নোমানুর রহমান খান।
গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, গত বছরের নভেম্বরে সাইদুর রহমান ও ইম্পোর্টার তালেব ও ফাতেমা আক্তার নামে তিন জনকে ৭ কোটি ৩৫ লাখ ভারতীয় জাল নোটসহ গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে একটি মামলা হয় খিলক্ষেত থানায়। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি। এই মামলায় গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের অন্যতম সদস্য নোমানুর রহমান খানের সন্ধান পায় ডিবি। এই মামলার তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে গত সোমবার ডিবি গুলশান বিভাগের একাধিক টিম পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড এলাকা থেকে নোমানুর রহমান খানকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোমান জানান, পাকিস্তানে অবস্থানকারী তার ভাই মো. ফজলুর রহমান ওরফে ফরিদ বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তান থেকে আকাশ ও সমুদ্রপথে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী ও ভারতীয় জাল নোট (৫০০/১০০০) বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠাতো।
নোমানের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে গত মঙ্গলবার রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২১ নম্বর মনেশ্বর রোড থেকে ইয়াসির আরাফাত ওরফে কেরামত এবং আমান উল্লাহ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৬ লাখ করে মোট ১২ লাখ জাল নোট জব্দ করা হয়। গ্রেফতারদের তথ্যের ভিত্তিতে একই দিনে কাজল রেখাকে হাজারীবাগ এলাকা থেকে ৩ লাখ জাল নোটসহ গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক চক্রের মাধ্যমে ভারতীয় জাল নোট (৫০০/১০০০) কৌশলে সংগ্রহ করে বিভিন্ন পণ্যের ভেতর, ব্যক্তি বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা দিয়ে পাচার করে আসছিলেন।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, জাল নোট পাচারকারী এ চক্রের কেন্দ্রে আছে মূলত দুইটি পরিবার। মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন একটি পরিবার। এই পরিবারের অধিকাংশ সদস্য একটা সময় পাকিস্তানের অবস্থান করতেন। বর্তমানে এই পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য ফজলুর রহমান পাকিস্তানের করাচিতে অবস্থান করছেন। সে পাকিস্তানকেন্দ্রিক মাফিয়াদের কাছ থেকে উন্নত মানের জাল নোট সংগ্রহ করে কখনো শুঁটকি মাছ, কখনো মোজাইক পাথর ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীর বস্তার মধ্যে করে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ পাঠায়। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করতো তার ভাই সাইদুর রহমান রহমান, নোমানুর রহমান এবং ভগ্নিপতি শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, যেহেতু এটি আন্তর্জাতিক চক্র, সেহেতু এই চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন পাকিস্তানি নাগরিকের নাম পেয়েছি। এই চক্রের দেশি-বিদেশি সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। দেশি কিংবা বিদেশি জাল মুদ্রার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে আমরা সব সময় সচেষ্ট থাকি। এছাড়া ভারতীয় জাল রুপিসহ অন্যকোনো বিদেশি মুদ্রা বাংলাদেশের রোড ব্যবহৃত হয় যেন পাচার না হয় সেই জন্য আমরা সচেষ্ট আছি। জব্দ হওয়া নোটগুলোকে কেন ‘সুপার জাল নোট’ বলা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই নোটগুলো মূলত ভারত থেকে আসেনি। নোটগুলো এসেছে পাকিস্তান থেকে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি এগুলো জাল নোট। এগুলো এতটাই সূক্ষ্মতার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে যে আসল নোটের প্রায় কাছাকাছি। তাই এগুলোকে ‘সুপার জাল নোট’ বলা হচ্ছে।
জাল রুপি পাচারে শুধুমাত্র রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোড ব্যবহার করা হয় নাকি অন্যকোনো রুটে ব্যবহার করা হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের তদন্তে আমরা এর রুটিন সন্ধান পেয়েছি। এই জাল নোট চক্রের সঙ্গে জঙ্গিদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ডিবি তদন্তে পেয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, তাদের কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আমরা পাইনি। তারা জাল নোটের বিনিময় অস্ত্র-মাদক ও চোরাই মোবাইল দেশে নিয়ে আসতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।