পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা : ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানার প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলা রেশম বোর্ডের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে টাকা আত্মসাতের অভিযোগও। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, আমরা নিয়ম মেনেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দনগড় এলাকায় স্থাপিত রেশম কারখানা। কারখানার হিসাবরক্ষকের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৩/১৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশ সরকার রেশম চাষ সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য সমন্বিত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেন ৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। ২০১৪/১৫ অর্থ বছরে একই প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয় ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে ওই প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর অঞ্চলের চাষিসহ প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এর সাথে জড়িত রয়েছে। আর রেশম কারখানার তালিকাভুক্ত চাষি রয়েছেন ৬শ’ জন।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে নেই তেমন অগ্রগতি। অভিযোগ রয়েছে রেশম কারখানা কর্তৃপক্ষ তালিকাভুক্ত চাষিদের রেশম চাষ সম্প্রসারণে পলুঘর নির্মাণ, ডালা চন্দ্রকী ও ঘড়াকাঠি বাবদ ৫০ জনকে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকার সরঞ্জামাদি ক্রয় করে দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় চাষিদের অভিযোগ রেশম কারখানার হিসাবরক্ষক ও সহকারী পরিচালক রেশম চাষ সম্প্রসারণের কথা বলে আমাদের নামে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ক্রয় করে বিল ভাউচার বেশি দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করছেন। আমাদের প্রত্যেক রেশম চাষিকে পলুঘর নির্মাণে ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। কিন্তু আমরা যদি নিজেরা পলু ঘর নির্মাণ করতাম তাহলে ২০-২৫ হাজার টাকার মধ্যে তা নির্মাণ করা সম্ভব হতো। আর এসব বাড়তি টাকাসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়েও অর্থ লোপাট করছেন। চলতি অর্থ বছরে জেলা সদরে কোন চাষিকে এ প্রকল্পের আওতায় না এনে পাশের জেলা পঞ্চগড়েরর বোদা উপজেলার সাকোয়ার ৫০ জন রেশম চাষিকে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। আরো অভিযোগ রয়েছে গেল ১৩/১৪ অর্থ বছরে সদর উপজেলার কয়েকজন চাষির বরাদ্দকৃত প্রকল্প বাস্তবায়নের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ে রেশম কারখানাটি স্থাপিত হওয়ায় এ কারখার আওতায় পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার চাষিরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাই সরকার রেশম চাষ সম্প্রসারণে লাখ লাখ টাকা ববাদ্দ দিচ্ছেন। কিন্তু প্রকল্প কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। আর ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানার কর্মকর্তাদের কারণেই কারখানাটি ১৪ বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। সরকার উদ্যোগ নিচ্ছেন আবার কারখানাটি চালু করার কিন্তু এ ধরনের কর্মকা-ে কর্মকর্তারা লিপ্ত থাকলে আবারো অনিশ্চয়তায় পড়বে কারখানাটি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও রেশম কাখানার হিসাবরক্ষক বেলায়েত হোসেন ও সহকারী পরিচালক সুলতান আলী জানান, আমরা নিয়ম মেনেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এখানে কোন অনিয়ম ও টাকা আত্মসাৎ হয়নি। তবে বরাদ্দকৃত চাষিদের নামের তালিকা প্রদানে অনীহা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তাগণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।