পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদানের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার ডেমোক্রেসি’ ও ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ সম্মাননা দিয়েছে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও)।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কানাডার এই প্রতিষ্ঠানটির দেয়া ক্রেস্ট ও সনদপত্র সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বেগম খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ এবং ২০১৯ সালে ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। কানাডিয়ান মানবাধিকার সংস্থা- সিএইচআরআইও প্রদত্ত ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ ও ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ অ্যাওয়ার্ডটি গতকাল বেগম খালেদা জিয়াকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ ও ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপি ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। সেইসাথে কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনকেও (সিএইচআরআইও) ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। অভিনন্দন বার্তায় বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আপনাদেরকে জানাতে চাই, কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন (সিএইচআরআইও) তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদান এবং তিনি যে এখনো গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্যে কারাবরণ করছেন, অসুস্থাবস্থায় গৃহবন্দি আছেন। এসব কারণে এই প্রতিষ্ঠানটি দেশনেত্রীকে মাদার অব ডেমোক্রেসি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। কানাডিয়ান হাইকমিশনও এখানে এটাকে এন্ডোর্স করেছে।
উল্লেখ্য যে, টানা ৮১দিন বসুন্ধরা হাসপাতালে চিকিতসাধীন থাকার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১ ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় আছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত। ফলে সেদিনই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান তিনি। দুই বছর কারাবাসের পর করোনা মহামারীর প্রাক্কালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের বিশেষ বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান তিনি। এরপর থেকে তিনি গুলশানের বাসায় আছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। গত সোমবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন সংগঠনের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা:
বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ ও ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ পুরস্কারে ভূষিত করায় কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশনকে (সিএইচআরআইও) আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব মো. আমিনুল হক, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহাতাব ও সদস্যসচিব মো: আব্দুর রহিম, নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান এবং সদস্য সচিব নিপুণ রায় চৌধুরী।
ইউট্যাব: ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ ও ‘ডেমোক্রেসি হিরো’ পুরস্কার পাওয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব প্রফেসর ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান। তারা গতকাল এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সুসংসহত করণের অবদানস্বরুপ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আন্তর্জাতিকভাবে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের। এ ধরণের পুরস্কার অনেক আগেই দেশনেত্রীর প্রাপ্য ছিল। দেরিতে হলেও বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ পুরস্কার দেয়া বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরো বেশি অনুপ্রেরণা ও শক্তি যোগাবে।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম বলেন, এটি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ফ্যাসিবাদ বিরোধী ও স্বৈরাচার বিরোধী কর্মকাণ্ডের একটি স্বীকৃতি। বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন বিশ্ববাসী তা দেখেছে এবং তার প্রতিফল স্বরূপ অচিরেই তিনি নোবেল পুরস্কারেও ভূষিত হবেন ইনশাআল্লাহ। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।