পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বায়ান্ন ও একুশ। একুশ মানে মাথা নত না করা। একুশ বাঙালি জাতির চেতনা। বিস্ময়কর আত্মজাগরণ। চলছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। ঘনিয়ে আসছে একুশ। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় যখন বাঙালি ছিলো ঐক্যবদ্ধ। উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চক্রান্ত রুখে দিতে সংগঠিত হচ্ছিলেন তাঁরা। বায়ান্নর এই একুশেই রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই প্রতিধ্বনিত হয়েছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। আর ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছর পরে তাই এখন দেয়াল লিখন ও পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এসব পোস্টারে শোভা পাচ্ছে ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা নানা শ্লোগান ও অমর বাণী। যেসব শ্লোগানের অমর বাণীর প্রেমের টানে বাঙালি জাতি বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে দলে দলে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে নেমেছিল এসেছিল রাজপথে। যার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছিল বীর বাঙালিরা।
তবে সেদিন শুধু ভাষার জন্য বাঙালি সন্তানরা রাজপথে নেমে আসেনি। তাঁরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার সংগ্রামও করেছেন। এমন জীবনসংগ্রামীদের কৃতির ওপরই দাঁড়িয়ে আছে আজকের বাংলাদেশ। যার ফলশ্রুতিতে বাঙালিদের মাতৃভাষা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। রক্তরাঙা সেই ফেব্রুয়ারি আমাদের ইতিহাসে এখনও ক্রিয়াশীল। ‹৫২›র ভাষা আন্দোলনের সফলতা জাতিকে এগিয়ে নিয়েছে মহান স্বাধীনতা আন্দোলনের দিকে। ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত লাল সবুজ পতাকাটি হচ্ছে এই জাতির জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা আন্দোলন শেষ হলেও এই বঙ্গের সকল মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি মিলেনি। ’৫২’র অনুপ্রেরণা ’৭১ সালের বিজয়ের বিশ্বাস নিয়ে এখন চলছে অর্থনৈতিক মুক্তির আন্দোলন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।