পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মেট্রো ট্রেন সেট, ডিপো ইক্যুইপমেন্ট এবং ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সামগ্রী আমদানি খাতে সিটি ভ্যাট বাবদ ২৩৩ কোটি টাকার আবেদন করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগে বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। চলতি বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) মেট্রো ট্রেন সেট বাবদ আরও ২৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হচ্ছে।
এদিকে চলতি অর্থবছর এডিপি থেকে আরএডিপিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস রয়েছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে আরএডিপি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত আরএডিপির অনুমোদন দেওয়া হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (লাইন-৬) শীর্ষক প্রকল্পটি ফাস্ট ট্র্যাকে অন্তর্ভুক্ত। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমটিসিএল এর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে। সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) প্রকল্পটির অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয় অন্তর্ভুক্তকরণসহ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য প্রকল্পের অনুমোদিত মোট ব্যয় জানা প্রয়োজন।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনের মোট ব্যয় হবে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে কিছু ট্রেন সেট জাপান থেকে দেশে এসেছে। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থাযুক্ত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্টকার্ড টিকেটিং ব্যবস্থা। মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা-নেওয়া করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৭৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। প্রথম পর্যায়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৯০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণের জন্য নির্ধারিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৭৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ৭০ দশমিক ৯১ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।