Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ইকো সিস্টেমে বিপর্যয় ঘটবে

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে বিশেষজ্ঞদের অভিমত

প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিলুপ্ত হবে বাঘ-ডলফিন-কুমির-মাছ : অবস্থান পরিবর্তন হয়নি ইউনেস্কোর
হাবিবুর রহমান : ফারাক্কা বাঁধ ও তিস্তার পানি না দেয়ায় এমনিতেই দেশের পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে। জীব-বৈচিত্র্য হুমকির মুখে। এ অবস্থায় সুন্দরবনের কাছে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে বায়ু, পানি ও মাটি দূষণের মাধ্যমে সুন্দরবনের খাদ্যচক্র, জীবনচক্র এবং বনের সমগ্র ইকো সিস্টেমকে বিপর্যস্ত করে তুলবে। একই সাথে সুন্দরবন থেকে বাঘ এবং পশুর নদী থেকে ডলফিন হারিয়ে যাবে। বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে এ অভিমত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। কমিটির ২৩তম বৈঠকে রামপাল কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ : অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব বিষয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞগণ তাদের অভিমত তুলে ধরেন। এদিকে, সাইট নির্ধারণে নদীর গভীরতা, কয়লা পরিবহনে সুবিধা, জনবসতি এবং টেন্ডার ডকুমেন্টে এফডিজি উল্লেখ না থাকলেও আগামী ডিসেম্বরে মূল রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। এখনও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র মেলেনি। তবে তা প্রক্রিয়াধীন বলে সংসদীয় কমিটিতে জানানো হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে লো-বার্ণার ব্যবহারের কথা বলা হলেও সেটি ৩০ বছরের পুরনো প্রযুক্তি বলে এতে উচ্চশব্দ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে একজন বিশেষজ্ঞ কমিটিকে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলসহ অন্য সুপারিশগুলো না মানলে আগামী বছর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবনের বাদ যাওয়ার আশঙ্কার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউনেসকো।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণীতে বলা হয়, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কয়লা প্ল্যান্ট বন্ধ রাখলেও বাংলাদেশ ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কয়লাভিত্তিক হবে। এ জন্য সরকার বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানি লি: ১৩২০ মে.ও. রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। চীন সরকার ইতেমাধ্যে ২০০টি কয়লা প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছে এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত বন্ধ রাখবে। আমেরিকায় ৭২ গিগাওয়াট কয়লা ফ্রিজ আউট করেছে। মার্কিনীরা গত আগস্ট মাসে কয়লা প্লান্ট বন্ধে একটি আইন পাস করেছে। বর্তমান সরকার সরকারি নীতি. দেশীয় আইন, আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে।
নিরপক্ষে স্বাধীন আন্তর্জাতিক সংগঠন সাউথ এশিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস ফাইন্ডিং প্রতিবেদনে বলেছেÑ রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে কোন কোন জায়গায় সরকারী নীতি, দেশীয় আইন, আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খানিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৩তম বৈঠকে মাপাল কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ : অথনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব বিষয়ে আলোচনায় এবং তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব বলেছেন, জ্বালানি নিরাপত্তা টেকসই উন্নয়নের পূর্ব শত। ২০০২ সালে বিশ্ব টেকসই উন্নয়নের উপর গ্লোবাল সামিটে পানি, জ্বালানি, কৃষি. বায়োডাইভারসিটি এবং স্বাস্থ্য এই ৫টিকে টেকসই উন্নয়নের জন্য চিহিৃত করা হয়। এর মধ্যে জ্বালানির অবস্থান ২য়। দেশের গ্যাস থেকে প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক যানবাহনসহ অন্যান্য খাতে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ বিভাগকে যে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, ভিশন ২০২১ অনুযায়ী বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। ভিশনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালে ৪০ হাজার এবং ২০৪১ সালে কমপক্ষে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাপার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য শরিফ জামিল বলেছেন, ভারত সরকার ইতোমধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সরে এসেছে। ভারত সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করছে। রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবনের বেশি ক্ষতি হবে উল্লেখ করে বলেন, সাইট নির্ধারণে নদীর গভীরতা, কয়লা পরিবহনে সুবিধা, জনবসতি এবং টেন্ডার ডকুমেন্টে এফডিজি উল্লেখ করা হয়নি এবং সুন্দরবনকে কি ভাবে রক্ষা করা যাবে সেটি বিবেচনায় নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, আকরাম পয়েন্টে কয়লা নাইটারেজ করতে যে জেটি নির্মাণ করা হবে তা সুন্দরবনের বিশ্ব ঐহিহ্যের খুব কাছে। আকরাম পয়েন্টে যে টার্মিনাল নির্মাণের কথা সেখানে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট মাটি লাগবে অর্থাৎ ২০০টি ফুটবল খেলার মাঠে ১০০ ফুট উঁচু করতে যে পরিমাণ মাটি লাগবে সে পরিমাণ মাটি ও বালি দিয়ে উক্ত টার্মিনাল নির্মাণের প্রয়োজন হবে। জাহাজগুলো কয়লা পরিবহন করার সময় পশুর নদীর ড্রেজিং অব্যাহাত থাকবে সে কারণে ডলফিন হারিয়ে যাবে তিনি সংসদীয় কমিটিকে জানান।
শরিফ জামিল বলেছেন, প্ল্যান্টে ৯০০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট চিমনি ব্যবহারের কথা বলেছে। কিন্তু যে ডাটার উপর ভিত্তি করে এই চিমনি কথা বলেছে তা সঠিক নয়। প্ল্যান্টে ব্যবহৃত গরম পানি কুলিং সিস্টেমে ঠা-া করে ছেড়ে দেয়া হবে বলা হলেও তা ডেন্টার ডকুমেন্ট বা ইআইএ সম্পর্কে মিক্সিং জোন সম্পর্কে কিছু বলা নাই। পশুরাম নদীতে প্রতিবছর ৩৫ বিলিয়ন লিটার পানি ব্যবহার করায় লবণাক্ততার পরিমাণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র মির্মিত হলে সুন্দরবন কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে সে বিষয়ে সংসদীয় কমিটি মতামত জানতে চায় এ প্রসঙ্গে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পর্ক ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সুন্দরবনের ক্ষতি করে আশপাশের এমন সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে কেন্দ্র করে সুন্দরবনের আশপাশে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় জমি দখল ও ক্রয়সহ প্রায় ১৫০টির মতো বাণিজ্যিক বলায় গড়ে উঠছে যাচ্ছে। এগুলো সুন্দর বনের ভীষণ ক্ষতি করবে।
তিনি সংসদীয় কমিটিতে বলেছেন, রামপাল নিয়ে সসরকারের পক্ষ থেকে যে যুক্তি দেয়া হয়েছে তা যথাযথ নয়। ফলে বায়ু, দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণের মাধ্যমে সুন্দরবনের খাদ্য চক্র, জীবন চক্র এবং বনের সমগ্র ইকো সিস্টেমকে বিপর্যস্ত করার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সুন্দরবনের ধ্বংস হয়ে যাবে। ঘনবসতিপূর্ণ ও জায়গা কম এই দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আরো সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সন্দুরবন ক্ষতির জন্য যে উপাদানগুলো তৈরি করা হচ্ছে এ থেকে রক্ষার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেছেন, ভারতের ওয়াইন্ড লাইফ ইনস্টিটিউটের একটি টিম সুন্দরবনের উপর প্রায় দুই বছর গবেষণা করেছে এবং উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর রাজভেন্ডার ঝালা একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, যদি সুন্দরবনের ভেতরে বা আশপাশে দিয়ে জাহাজ চলাচল করে তা হলে বাঘের জেনেটিক ক্যারেকটারের উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। পশুরাম নদী ছেড়ে দিয়ে অন্য তোথাও সরিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে সন্দরবন রক্ষা পাবে। তখন কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারবে।
বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কাজী বায়েজিদ কবির বলেন, এ প্ল্যান্টে দু’ধরনের কুলিং টাওয়ার ব্যবহার করা হবে। এক ধরনের হচ্ছে পানি ব্যবহার করে ছেড়ে দেয়া হবে যাতে করে তাপমাত্র প্রায় ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। তার পরও এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। তবে তিনি অনেক বক্তব্য ক্ষতির দিক তুলে ধরেন সংসদীয় কমিটির কাছে।
ক্যাবের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম রামপাল সুরক্ষার প্রশ্নে তিনি বলেন, তিনটি বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এক কারিগরি দিক হচ্ছে- ইআরএ এ্যাসেসমেন্ট-এ বিভ্রান্তিকর, ত্রুটি ও অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে। ইকোলজিক্যাল ডাটা, লাইফটাইম ডাটা, ডে-টাইম ডাটা এবং টাইম সিডিউল ডাটা ছাড়া এ রকম একটি ইআইএ প্রতিবেদন হয়ে গেল যা কারিগরি ও একাডেমিক বিবেচনায় গ্রহণযোগ্য হয়নি।
বেলার প্রধান নির্বাহী ড. সৈয়দ রেজওয়ানা হাসান বলেছেন, সুন্দরবন শালবন নয়, সুন্দরবন সন্দুরবনেই। বিশ্বব্যাপী-এর একটি আবেদন রয়েছে। তাই এক রক্ষা করা আমাদের সকলে নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, ইআরএ-এর মূল্যায়নর নিরপেক্ষভাবে করা হয়নি। এতে ত্রুটি রয়েছে তা রেকর্ড করা হয়েছে। অনেক সময় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় এবং চাপেও অনুমোদন দেয়া হয়। যেহেতু সুন্দরবন একটি বিশ্ব ঐতিহ্য তাই গ্লোবাল নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ ‘ইআইএ’ করা হউক উল্লেখ করে তিনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ স্থাগিত রাখার দাবি জানান সংসদীয় কমিটিতে। এছাড়া মতামত তুলে ধরেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এম নেয়ামুল নাসের বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে সেখানে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তা রক্ষা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোন সেল নাই। যাতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তা সাথে সাথে নিয়ন্ত্রণ করে পরিবেশ বিপর্যয় দ্রুতরোধ করা যায় সে বিষয়গুলো থাকতে হবে। কার্বন নিঃসরণের বিষয়টি থাকতে হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, সুন্দরবনকে ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। মানুষের জন্য দেশ, মানুষের জন্যই পরিবেশ। প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষের জন্য উন্নত জীবন প্রদানে বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ অপরিহার্য। প্রয়োজনীয় শতর্কতার সাথে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবনের ও পশুর নদীর ক্ষতি হবে না উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলসহ অন্য সুপারিশগুলো না মানলে আগামী বছর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবনের বাদ যাওয়ার আশঙ্কার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউনেসকো। ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে সংস্থাটি। গত ২৪ থেকে ২৮ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত ইউনেসকোর প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশ সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফরে যাওয়া উপলক্ষে এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করে তারা।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলসহ যেসব সুপারিশ ইউনেসকো করেছে। তারা বলেছে, সুন্দরবনের পাশে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরনের পরিবেশগত ঝুঁকি না থাকার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতেই প্রতিনিধিদল এ সফরে যায়। কারণ, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইউনেসকো একাধিকবার সরকারকে চিঠি দিয়েছে। সর্বশেষ গত মাসে সংস্থাটি একটি প্রতিবেদন দেয়, যেখানে বলা হয়, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের ক্ষতি করবে না এমন স্থানে অবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে। তবে সরকার ইউনেসকোর ওই আবেদনে সাড়া না দিয়ে রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রাখে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইকো সিস্টেমে বিপর্যয় ঘটবে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ