পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষুব্ধ মমতা-কেজরিওয়াল
ইনকিলাব ডেস্ক : ফের আটক কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। এক পদ এক পেনশন বিতর্কে আত্মঘাতী প্রাক্তন সমরকর্মী রামকিষাণ গ্রেওয়ালের আত্মহত্যার ঘটনায় গতকালই দ্বিতীয়বার রাহুলকে আটক করেছে পুলিশ। কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদেরও আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে রয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। রামকিষাণের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় কনট প্লেস এলাকা থেকে রাহুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু রাহুলই নয়, রামকিষাণের ছেলেকেও হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে প্রথববার গ্রেফতার করা হলেও চাপের মুখে রাহুল গান্ধীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিস। তাকে ও মৃত জওয়ানের পরিবারের সদস্যদের আটক করার পরই শুরু হয়ে যায় ধুন্ধুমার। থানায় বসেই একরকম পুলিশকে ধমকাতে শুরু করে দেন রাহুল গান্ধী। সেই সঙ্গে তাকে গ্রেফতারের দাবি করতে থাকেন তিনি। কার্যত সেই চাপে পড়েই অবশেষে ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।
গতকাল রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ঢুকতে গেলে প্রথমে কংগ্রেস সহ-সভাপতিকে বাধা দেয় দিল্লি পুলিস। পরে জোর করে ঢোকার চেষ্টার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। ঢুকতে না পেরে এবং তাকে আটক করায় ক্ষোভ উগরে দেন রাহুল গান্ধী। এভাবে তাকে আটকানো অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার সঙ্গে আটক করা হয় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে।
এক পদ এক পেনশন নীতির দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির একটি পার্কের সামনে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন প্রাক্তন সেনাকর্মী রামকিষণ গাড়েওয়াল। গতকাল সকালে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাপসাতালে দেখা করতে যান দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া। জোর করে হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করায় তাকে সকালেই আটক করে পুলিশ। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে হাসপাতালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল গান্ধী। তার সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা। সেখানেও বাধার মুখে পড়েন তিনি। পরে তাকেও আটক করা হয়।
রাহুল গান্ধীকে আটক করা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের প্রতিক্রিয়া, ‘এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। পুলিশ যা কর্তব্য বলে মনে হয়েছে, তাই করেছে। পুলিশের যুগ্ম কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই রাহুল ও সিসোদিয়াকে আটক করতে হয়।
দিল্লি পুলিশের এ ধরনের আচরণের সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো রাজনীতিকরা। রাহুল ও সিসোদিয়াকে আটকানো ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
এই ঘটনার পর রাহুল ও আম আদমি পার্টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। রাহুল ট্যুইট করে বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবার আর্জি জানাচ্ছি সৈন্যদের পাওনা আদায়ের জন্য যেন সংগ্রাম না করতে হয়। এক পদ এক পেনশন অর্থবহভাবে রূপায়ণ করতে হবে। সুবেদার রামকিষাণ গ্রেওয়ালের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। তার মৃত্যু খুবই শোকাবহ’।
আম আদমি পার্টি নেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক পদ এক পেনশন নিয়ে ‘মিথ্যা কথা’ বলার অভিযোগ এনেছেন। কেজরিওয়াল বলেছেন, এক পদ এক পেনশন রূপায়িত হয়েছে দাবি করে মিথ্যে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এভাবে প্রাক্তন সমরকর্মীদের চূড়ান্তভাবে ঠকানো হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।
কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সমগ্র দেশের কাছে মিথ্যে বলেছেন। এক পদ এক পেনশন রূপায়িত হলে রামকিষাণ কেন আত্মহত্যা করলেন? এ বিষয়ে বিজেপি সরকার যে প্রতারণা করছে, তা এর আগে কখনও হয়েছে বলে মনে হয় না। সেনাবাহিনীকে ধোঁকা দেয়া হয়েছে এবং রাজনৈতিক স্বার্থে অপব্যবহার করা হয়েছে। রাম কিষাণের মৃত্যু যেন ব্যর্থ না হয়’।
সিসোদিয়াকে হাসপাতালে ঢুকতে বাধা দেয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, একজন উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিহতের পরিবারবর্গের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তিনি তো রামকিষাণের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এতে দোষ কোথায় তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন কেজরিওয়াল। তার দাবি, ভয় পেয়েছেন মোদি।
রাম কিষাণের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। তিনি এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তলব করেছেন। সূত্র : জি নিউজ, এবিপি আনন্দ ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।