Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সার্বিক সিদ্ধান্ত নেবে সরকার

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ইউনেস্কোর রিপোর্ট প্রসঙ্গে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইউনেসকোর রিপোর্ট প্রসঙ্গে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, ইউনেসকো যেসব বিষয় জানতে চেয়েছে আমরা তার জবাব লিখিতভাবে জানিয়েছি। এরপরও তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য তুলে ধরে মিডিয়ায় আসা প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। এসব বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে না। পরিবেশ, সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেয়। এখানে রামপাল কেন অন্য কোন পালরা চাইলেও এই মন্ত্রণালয়কে শর্ত সাপেক্ষে অনুমতি দিতে হবে।
গতকাল (বুধবার) সচিবালয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৭ নভেম্বর মরোক্কোর মারাকেশ শহরে ২২তম এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যা চলবে আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। সম্মেলনে বিশ্বের অন্য রাষ্ট্র প্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এ সময় উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং সচিব ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলসহ যেসব সুপারিশ ইউনেসকো করেছে, তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে চায় জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও ঐতিহ্য বিষয়ক সংস্থাটি। তবে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলসহ অন্য সুপারিশগুলো না মানলে আগামী বছর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে সুন্দরবনের বাদ যাওয়ার আশঙ্কার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি। গত সোমবার ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেছে সংস্থাটি। গত ২৪ থেকে ২৮ অক্টোবর ফ্রান্সের প্যারিসে অবস্থিত ইউনেসকোর প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সফরে যাওয়া উপলক্ষে এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করে তারা।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানান, কপ সম্মেলনের আগে আগামী ১ ও ২ নভেম্বর স্বল্পোন্নত দেশগুলো প্রস্তুতি সভা এবং ৫ ও ৬ নভেম্বর জি-৭৭ ও চায়না গ্রুপের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ওই সভাগুলোও অংশ নেবে এবং প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন ও এবারের কপ সম্মেলনে গ্রুপসমূহের কর্মপন্থা প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানান, বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে আগামী ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে মধ্যে ১০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড ১ দশমিক ২ বিলিয়ন অর্থায়নে সারা বিশ্বে ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের একটি প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে ৮০ মিলিয়ন ডলার।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অত্যন্ত দক্ষতা এবং সততার সঙ্গে বাংলাদেশ এ অর্থ খরচ করছে। এই তহবিলের অর্থ খরচের জন্য বাংলাদেশ তার নিজের দক্ষতাও বাড়াচ্ছে।
এছাড়া আগামী ৪ নভেম্বর থেকে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে বলেও জানান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সার্বিক সিদ্ধান্ত নেবে সরকার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ