পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সমুদ্রপথে ইউরোপে সরাসরি পণ্য রফতানির দ্বার উন্মোচিত হলো। আজ সোমবার রফতানি পণ্যবোঝাই কন্টেইনার নিয়ে ইতালির উদ্দেশে চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়বে এমভি সোঙ্গা চিতা। এ লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক।
প্রথম চালানে ৮৯৩টি রফতানি পণ্যের কন্টেইনার নিয়ে জাহাজটি ইতালি যাওয়ার কথা রয়েছে। চালানের ৯৮ শতাংশ তৈরি পোশাক। ইউরোপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্ডার অনুযায়ী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নিয়ে জাহাজটি ইতালির রেভেনা বন্দরে পৌঁছাবে। এর মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কম সময় ও খরচে ইউরোপের বাজারে পণ্য রফতানি শুরু হচ্ছে।
গতকাল রোববার বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ইতালি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সাথে নিয়ে জাহাজটি পরিদর্শন করেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তারা তাদের সাথে ছিলেন। পণ্য রফতানিতে সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি ইউরোপ যাবে জাহাজ- এমন প্রত্যাশা বহুদিনের। সেই স্বপ্ন এবার বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। সরাসরি পণ্য রফতানি হলে ইউরোপের বাজার বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। এখন আগের চেয়ে কম খরচে এবং কমপক্ষে ১৩ থেকে ১৫ দিন আগে পণ্য পৌঁছানো যাবে। এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর ইতালি থেকে খালি কন্টেইনার নিয়ে পরীক্ষামূলক যাত্রায় চট্টগ্রামে পৌঁছায় ‘ক্যাপ ফ্লোরেস’ নামের একটি জাহাজ। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাত্রার পর ১৬-১৭ দিনে জাহাজটি ইতালির রেভেনা বন্দরে পৌঁছাবে। আর সরাসারি হওয়ায় ভাড়া ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমে যাবে। আপাতত দুটি জাহাজ চলবে। সফল হলে জাহাজের সংখ্যা আরও বাড়বে। নতুন এ সমুদ্রযাত্রাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রফতানির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে বলে মনে করেন রফতানিকারক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বিদেশি ক্রেতাদের প্রতিনিধি ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাররা।
জাহাজটি পরিদর্শনকালে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ইউরোপের সাথে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ায় পোশাক রফতানিতে নতুন দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর এখন বেশ গতিশীল হয়েছে। পণ্য পাঠাতে বন্দর নিয়ে আমাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাছাড়া পতেঙ্গা ও বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বন্দর আরো গতিশীল হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।