পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কমানোর দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে ব্যবসায়ীরা। গতকাল বুধবার সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়ে সন্ধ্যায় শেষ হয়। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়। দাবি না মানলে সামনে বৃহৎ কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম।
পাকেজ ভ্যাট পুনর্বহাল ও বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাট কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধসহ বেশ কিছু দাবি পূরণে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরাম। রাজধানীর বিভিন্ন ব্যবসায়িক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বুধবার সব মার্কেট ও দোকান বন্ধ আছে। পুরান ঢাকায় পণ্য ও মার্কেটভিত্তিক ব্যবসায়িক সংগঠন ধর্মঘটের সমর্থনে দোকানের সামনে ব্যানার ঝুলিয়ে রেখেছে। তারা এলাকায় মাইকিংও করছে এবং মূসক কমানোর দাবি জানিয়ে মিছিল বের করেছে।
সকাল ১১টায় পুরান ঢাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ আয়রন এন্ড স্টিল ইম্পোর্টারস এসোসিয়েশন। সংগঠনটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ সিরাজের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হাজী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন নুরানী, কোষাধ্যক্ষ আবুজর গিফারী জুয়েল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা সরকারের দাবি অনুযায়ী নিয়মিত ভ্যাট দিয়ে আসছি। এ ভ্যাট দিতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। তার উপর নতুন করে কর বা ভ্যাট আরোপ করলে আমাদের ব্যবসা করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। আর আমরা যদি ব্যবসা বন্ধ করে দেই তাহলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। তাই সরকারের কাছে আমরা জোর মিনতি করছি আগের প্যাকেজ ভ্যাট বহাল রেখে আমাদের ব্যবসা করার সুয়োগ করে দিবেন।
ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেব বলেন, প্যাকেজ ভ্যাট পূর্বের ন্যায় বহাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভ্যাট, ৩৬ লাখ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ৩ শতাংশ টার্ন ওভার কর এবং ভ্যাট কর্মকর্তাদের হয়রানি বন্ধে ধর্মঘট পালন করছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পাশাপাশি আমরা ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দোকানের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। এরপরও যদি আমাদের দাবি মানা না হয় আমরা, বৃহৎ কর্মসূচিতে যাব।’
পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেব। এরপরে আমরা লাগাতারভাবে রাস্তায় কর্মসূচি দেবে। আমাদের দাবির সঙ্গে এফবিসিসিআইসহ সকল ব্যবসায়ী মহলের সমর্থন রয়েছে।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর এ দাবিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবনের সামনে ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। যেখানে মানববন্ধনে ও প্রতিবাদ সভা শেষে ব্যবসায়ীরা ২ নভেম্বর রাজধানীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে পূর্ণদিবস ধর্মঘট পালনের বিষয়টি ঘোষণা করেছিলেন। এরপরও সুরাহা না হলে পর্যায়ক্রমে এফবিসিসআই, এনবিআর ঘেরাও এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলেও জানান সংগঠনের নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।