পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের বিজেপিশাসিত মধ্য প্রদেশের ভূপাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালানোর পর পুলিশের গুলিতে ৮ ‘সিমি’ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় আলেমসমাজ।
গতকাল গণমাধ্যমে প্রকাশ, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের মহাসচিব মাওলানা মাহমুদ মাদানি বলেছেন, ‘এটা একটি সুপরিকল্পিত অপারেশন ছিল যাতে শুধু নির্দোষ মৃত্যুই হয়নি বরং আইন এবং মানবাধিকারকেও উপহাস করা হয়েছে। এ জন্য আমার দাবি, কোনো নিরপেক্ষ এজেন্সির তদন্তের মাধ্যমে ওই ঘটনার তদন্ত করে দোষী পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের কঠোর সাজা দেয়া হোক।’
গণমাধ্যমে প্রকাশ, মাওলানা মাহমুদ মাদানীর নির্দেশে জমিয়তে উলামা মহারাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিহত ওই যুবকদের মামলায় লড়াই করা হচ্ছিল। কয়েকটি শুনানির পর জমিয়তের আইনজীবীদের কাছে স্পষ্ট হয় যে, সরকার পক্ষের (এটিএস) আইনজীবীদের কাছে তাদের দোষী সাব্যস্ত করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।
মাওলানা মাহমুদ মাদানী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তাহলে কি দেশের এজেন্সি তাদের ব্যর্থতা আড়াল করতে নিরীহ যুবকদের ভুয়া এনকাউন্টার করার পথ গ্রহণ করেছে?’
নিষিদ্ধ ঘোষিত স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অব ইন্ডিয়া বা ‘সিমি’ সদস্যদের কারাগার থেকে পালানো এবং তাদের হত্যা প্রসঙ্গে মাওলানা মাদানী বলেন, ‘যারা কারাগারে বন্দি অবস্থায় ছিল তাদের হাতে অস্ত্র কীভাবে এলো? নিহতদের পরনে নতুন পোশাক, হাতে হাতঘড়ি, জুতা ইত্যাদি তাদেরকে কে দিয়েছিল? এত বড় অপরাধমূলক অপারেশনে পুলিশ কর্মীরা মোবাইলে কীভাবে ভিডিও শুটিং করেছিলেন?’
মাওলানা মাদানী আফসোস করে বলেন, ‘কিছু মানুষ তাদেরকে গুরুতর সন্ত্রাসী বলে অভিহিত করে ওই ঘটনাকে লঘু করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আমাদের দেশে আইনের শাসন রয়েছে। আমাদের সাংবিধানিক আইনের মূলনীতি অনুসারে যতক্ষণ কোনো ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত না হবে ততক্ষণ তাকে দোষী অভিহিত করা উচিত নয়। এ জন্য এ অধিকার কারো নেই যে, তিনি দেশের আইন-শৃঙ্খলাকে পদদলিত করে তথাকথিত দেশভক্ত হয়ে যাবেন।’
মাওলানা মাদানী বলেন, ‘জমিয়তে উলামা হিন্দ তাদের মামলা লড়ছিল এ জন্য তারা চুপ করে বসে থাকতে পারে না। আদালতের সামনে সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য তুলে ধরবে।’
অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি মাওলানা আমীর রাশাদি ওই ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ বলে অভিহিত করে বলেন, গুজরাট, হায়দ্রাবাদ এবং বাটলাতেও এর আগে নিরীহদের হত্যা করা হয়েছে।
মাওলানা রাশাদি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভূপাল এনকাউন্টার ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে (সন্ত্রাস দমন বাহিনী) এটিএস এবং সরকারের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফল। ‘এরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বদনাম করে হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করছে’ বলেও মাওলানা আমীর রাশাদি মন্তব্য করেন। সূত্র : পার্স টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।