Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত বাঁচাতে হলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তাড়াতে হবে

প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার বলেছেন, ‘দেশ বাঁচাতে হলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তাড়াতে হবে।’ মঙ্গলবার জলন্ধরে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
কানহাইয়া কুমার ‘আরএসএস ভাগাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগান তুলে বলেন, ‘যদি দেশকে রক্ষা করতে হয় তাহলে এখান থেকে আরএসএসকে হঠাতে হবে। যতদিন দেশ থেকে আরএসএসকে তাড়ানো না যাবে ততদিন এখানে শান্তি আসবে না।’
কানহাইয়া বলেন, ‘দেশে ক্ষুধা, উন্নয়ন ইত্যাদি প্রধান ইস্যু হলেও বিজেপি উত্তর প্রদেশে এসবের পরিবর্তে নির্বাচনি ফায়দা তুলতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ইস্যু নিয়ে চলছে। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছেন, আরএসএসের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আরএসএসের কোনো নেতা সীমান্তে গিয়ে লড়াই করেছেন? ১৯২৫ সাল থেকে আরএসএস লাঠি নিয়ে চলছে, কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো সীমান্তে গিয়ে ওই লাঠি ব্যবহার করেছে?’
তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী কী আরএসএসের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে চলছে? ভারতের জওয়ানরা সীমান্তে শহীদ হচ্ছেন এবং আরএসএস-বিজেপি নিজেদের পিঠ চাপড়াচ্ছে। সেনাবাহিনী কোনো দলের একচেটিয়া নয়। মোদি নিজের দামি স্যুট খুলে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে দেখুন তখন বুঝতে পারবেন আমাদের সেনাবাহিনী কী।’
কানহাইয়া বলেন, ‘দেশে ভাবনার পরিবর্তন করে দেশ পরিবর্তনের কথা বলা হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদি ইতিহাস পরিবর্তন করার চেষ্টা করছেন। শিক্ষা এবং বইপত্রে পরিবর্তন করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এটা না জানতে পারে কীভাবে বীর সাভারকার ইংরেজদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন।’
সাভারকারকে হিন্দুত্ব রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রবক্তা হিসেবে গণ্য করা হয়। হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে সাভারকারকে পরম পুজনীয় হিসেবে সম্মান করা হয়ে থাকে।
কানাহাইয়া কুমার ভোপাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৮ সিমি সদস্যদের পালানো এবং পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের হত্যা করা প্রসঙ্গে (কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা) সিবিআইয়ের পরিবর্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। সিবিআই কেন্দ্রীয় সরকারের ইঙ্গিতে কাজ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ভোপাল কারাগার কি এতই দুর্বল যে, ৮ জন কারাগার থেকে পালাতে সক্ষম হবে? ওই ৮ জনের একই সঙ্গে থাকা এবং সংঘর্ষে তাদের হত্যা করা নিয়ে এমনিতেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ওই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। কারণ, দেশে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে আরোপ, প্রত্যারোপ চলছে যে, এর রাজনীতিকরণ করা হয়েছে।’ সূত্র : পার্স টুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত বাঁচাতে হলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তাড়াতে হবে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ