পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, শিক্ষা নাগরিকদের অন্যতম মৌলিক অধিকার। এই অধিকার কুক্ষিগত বা তা থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার সরকারের নেই। তিনি অভিযোগ করেন, করোনা পরিস্থিতিকে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করায় শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশেই শিক্ষা কার্যক্রম স্বাচ্ছন্দ্যভাবে পরিচালিত হলেও বাংলাদেশে গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা থেকে সুপরিকল্পিত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ক্ষতির শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিকল্প হিসেবে যে অনলাইন ক্লাস ও শিখন ক্লাসের কথা বলা হচ্ছে এর ফলে ধনী দরিদ্রদের শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয়েছে। এ সময় তিনি টালবাহানা না করে অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।
গতকাল শনিবার পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর মজলিসে শুরা সভাপতি নূরুল করীম আকরামের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিনের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, ইউসুফ আহমাদ মানসুর, ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, নূরুল বশর আজিজী, শেখ ইহতেশাম বিল্লাহ আজিজী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ সাম্প্রতিক সময়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষা আইনের বিষয়ে আলোচনা অযাচিত ও অশোভন উল্লেখ করে বলেন, এই আইন সম্পন্ন হলে কওমি শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি সরকার নিয়ন্ত্রিত হবে যা স্বীকৃতির সময় ইতিপূর্বে স্পষ্টভাবে আলোচিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।