পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার রং তুলির আঁচড়ে নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে পূর্ব ঘোষিত ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে জোর দাবি জানানো হয়েছে। এসময় শিক্ষার্থীরা সড়কে নিরাপদ সড়ক চাই আলপনা একে দেয় এবং ১১ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে সমবেত হয়ে এ দাবি জানানো হয়। আন্দোলনে খিলগাঁও গভঃ কলোনী স্কুল, শেখ রাসেল স্কুল এন্ড কলেজ, আইপিএস স্কুল এন্ড কলেজ, মহাখালী মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সড়কেই বসে পড়েন। প্ল্যাকার্ডে ‘বিনা শর্তে সারাদেশে বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস দিতে হবে,’ ‘নিরাপদ সড়ক চাই, সড়কের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন, লড়াই করুন, সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করুন,’ ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরান’ এসব স্লোগান লেখা ছিল।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেত্রী খিলগাঁও মডেল কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ সড়ক ও হাফপাসের দাবিতে আন্দোলন চলে আসছে। আবার এরই মাঝে প্রতিদিনই সড়কে ঘটে চলেছে নির্মম হত্যাকাণ্ড। সাম্প্রতিক সময়ে আপনারা দেখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহবুদ হাবিব হিমেল ট্রাক চাপায় নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় বাস চাপায় কানিজ ফাতেমা নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে সড়কে মৃত্যুর মিছিল। যা আমাদের দেশের করোনা তাণ্ডবকেও হার মানিয়েছে। এ যেনো এক মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে আমাদের দেশ।
এ সকল মৃত্যুর দায় অবশ্যই প্রশাসনের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার উপর বর্তায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি বরাবরের মতোই সড়কের এই অব্যবস্থাপনা বিরুদ্ধে প্রশাসনের কোনো কার্যকর উদ্দ্যোগ নেই। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এই কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তাই যতদিন না সড়কের এই মৃত্যুর মিছিল, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে অর্থাৎ আমাদের ১১ দফা দাবি যতদিন না পর্যন্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে ততদিন আমাদের এই নিরাপদ সড়কের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
হুট করে মাঝেমধ্যে কেন আন্দোলনে নামা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে সোহাগী সামিয়া বলেন, হুট করে নয়, আমরা আন্দোলনের ব্যাপ্তিতে পরিবর্তন এনেছি। এত বড় একটি আন্দোলন এগিয়ে নিতে অনেক ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। সেই জায়গা থেকে পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কারণ এই সড়ক আন্দোলনের যতটুকু অর্জন ছিলো তাও এখন বন্ধ হয়ে গেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের অযুহাতে হাফ ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। অথচ শিক্ষার্থীরা বই মেলায় যাবে, কোচিং সেন্টারে যাবে, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে। বাস মালিক ও প্রশাসন ভুলে গেছে, সাপ্তাহিক ছুটি আর করোনাকালীন ছুটি এক নয়।
সোহাগী সামিয়া আরো বলেন, আমাদের ১১ দফা দাবি যখন পরিপূর্ণভাবে মানা হবে, ঠিক তখনই সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আমাদের ১১ দফায় চালকদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মজুরির ব্যবস্থা করা, চালকবান্ধব সড়ক নিশ্চিত করা, সড়কের অবকাঠামো উন্নয়নসহ সব ধরনের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। এ দাবিগুলো বাস্তবায়নে যদি সরকার বা প্রশাসন আমাদের নিয়ে বসতে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত আছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।