পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বায়ুদূষণের কারণে দিন দিন বাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে এই পৃথিবী। শুধু বায়ুদূষণের কারণেই প্রতি বছর ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। আর এই দূষণের কারণে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বাড়ছে চীন ও ভারতে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ প্রজেক্ট’ নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া এ খবর দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুদূষণের মূল কারণ হলো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, শিল্পকারখানা, যানবাহন, পোড়ানো কয়লা ও কাঠ থেকে উৎপাদিত ধোঁয়া। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের ড্যান গ্রিন বাম বলেছেন, ‘বেইজিং বা দিল্লিতে বায়ুদূষণের অবস্থা এমন অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যেদিন এ দুই নগরের বাতাসে দূষণের মাত্রা অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি থাকে সেদিন বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে সূক্ষ্ম কণার পরিমাণ থাকে ৩০০ মাইক্রোগ্রামেরও বেশি। বাতাসে কোনোমতেই ক্ষুদ্র কণার পরিমাণ ২৫ থেকে ৩৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়।’
ক্ষুদ্র তরল বা কঠিন কণার মধ্যে দিয়ে এই কণা শরীরে ঢুকলে হৃদরোগের ঝুঁকি, স্ট্রোক, শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রের ঝুঁকি এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়াতে পারে। উন্নত দেশগুলো এই সমস্যা নিয়ে গত কয়েক দশক ধরে কথা বলছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বায়ুদূষণের ফলে মৃত্যুর হার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, অপুষ্টি, স্থূলতা, অ্যালকোহল, ওষুধের অপব্যবহার এবং অনিরাপদ যৌন ব্যবস্থার মতো অন্যান্য ঝুঁকির চেয়েও বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর হার বেশি। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ প্রজেক্ট উচ্চ রক্তচাপ, ডায়েটগত ঝুঁকি এবং ধূমপানের পর সর্বাধিক মৃত্যুর কারণ বা ঝুঁকির তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে বায়ুদূষণ।
২০১৩ সালের হিসেবে ধরে নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, শুধু চীনেই বায়ুদূষণের কারণে বছরে প্রায় ১৬ লাখ এবং ভারতে ১৩ লাখ মারা পড়েন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।