পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম আবারও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১ হাজার ১৭৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিইআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এলপিজি গ্যাসে কেজি-প্রতি ৮ টাকা বেড়েছে। বেসরকারি পর্যায়ে ফেব্রæয়ারি মাসের জন্য এলপিজি মূসকসহ কেজি প্রতি ৯৪ দশমিক ৯৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩১ পয়সা করা হয়েছে। ফলে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহককে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজিতে ৬২ টাকা বেশি দিতে হবে। সে হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজির মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১ হাজার ২৪০ টাকা।
ঘোষণা অনুযায়ী, মোটরগাড়ির জন্য অটোগ্যাসের দামও বর্তমানে মূসকসহ প্রতি লিটার ৫৪ দশমিক ৯৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৭ দশমিক ৮১ টাকা করা হয়েছে। জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সউদী আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সউদী কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সউদী সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
সউদী সিপি অনুসারে ফেব্রæয়ারিতে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে টন প্রতি ৭৭৫ এবং ৭৭৫ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় ফেব্রæয়ারির জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি এলপিজির সর্বোচ্চ মূল্য ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা ধরে ফেব্রæয়ারিতে সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৬৮ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম ১ হাজার ২৯২ টাকা, ১৫ কেজির দাম ১ হাজার ৫৫০ টাকা, ১৬ কেজির দাম ১ হাজার ৬৫৩ টাকা, ১৮ কেজির দাম ১ হাজার ৮৬০ টাকা।
এছাড়া ২০ কেজি এলপিজির দাম ২ হাজার ৬৭ টাকা, ২২ কেজির দাম ২ হাজার ২৭৩ টাকা, ২৫ কেজির দাম ২ হাজার ৫৮২ টাকা, ৩০ কেজির দাম ৩ হাজার ১০০ টাকা, ৩৩ কেজির দাম ৩ হাজার ৪১০ টাকা, ৩৫ কেজির দাম ৩ হাজার ৬১৭ টাকা এবং ৪৫ কেজির দাম ৪ হাজার ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয়ের পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির উৎপাদিত এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি।
জানা গেছে, প্রতিবার এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানেন না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে বাড়তি অর্থ গুণতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। আর মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার আর খুচরা ব্যবসায়ীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।