পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উমর ফারুক আলহাদী
ভারত থেকে বানের স্রোতের মতো আসছে অবৈধ অস্ত্র। আর এসব অস্ত্র যাচ্ছে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের জঙ্গিদের হাতে। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সীমান্ত হয়ে আসছে অবৈধ অস্ত্রের চালান। মাঝে-মধ্যে কিছু অস্ত্র উদ্ধার হলেও বেশিরভাগই রয়ে গেছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। শুধু স্থল পথে নয় সমুদ্র পথেও আসছে অস্ত্রের বড় বড় চালান। শুধু ভারত নয়, মিয়ানমার থেকে আসছে। ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বিভিন্ন কলা-কৌশলে অস্ত্র এনে এদেশের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর কাছে বিক্রি করছে। এমনটি জানিয়েছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তারা সীমান্তে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্মকা- নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। ডিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত হয়ে বানের ¯্রােতের মতো আসছে অবৈধ অস্ত্রের চালান। অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বিভিন্ন কলা-কৌশলে অবৈধ অস্ত্রের চালান নিয়ে আসছে। কখনো বালির ট্রাকে করে, কখনো পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, শাক-সবজির ট্রাকে, আবার কখনো বিভিন্ন মালামালের বস্তায় ট্রেনযোগে আসছে অবৈধ অস্ত্রের চালান।
ডিবির কর্মকর্তারা বলেছেন, অবৈধভাবে বাংলাদেশে অস্ত্র নিয়ে এসে সেগুলো বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে বিক্রি করে এমন একটি ভারতীয় সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার রাতে রাজধানীর গাবতলী থেকে ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ী ওই সিন্ডিকেটের সদস্য খায়রুলকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দারা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন গতকাল বলেছেন, অস্ত্রসহ গ্রেফতার খায়রুল নামের এক অস্ত্র ব্যবসায়ী অবৈধভাবে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অন্প্রুবেশ করে বাংলাদেশ। সে বিভিন্ন সময় ভারতের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের যোগসাজশে অস্ত্র নিয়ে আসত। পরে সেগুলো ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গার সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে বিক্রি করত। গ্রেফতারের সময় খায়রুলের কাছ থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তন্মধ্যে ৬টি বিদেশি পিস্তল এবং ৪টি বিদেশি অন শুটার গান। এছাড়াও তার কাছ থেকে ৩৫টি বুলেট ও ১২টি ম্যাগাজিন জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে খায়রুল জানিয়েছে, ভারতের অস্ত্র ব্যবসায়ীরা বিহার থেকে বালুর ট্রাকে করে অস্ত্রগুলো পশ্চিমবঙ্গের আস্তানায় নিয়ে আসে। তারপর সুযোগ বুঝে তারা সেগুলো বাংলাদেশে পাচার করে।
জঙ্গিদের কাছেও ভারত থেকে আসছে অস্ত্রের চালান। এর আগে গুলশানে জঙ্গি হামলায় যেসব অস্ত্র ব্যবহার হয় সেগুলো ভারতে তৈরি হয় এবং সেখান থেকে আসে জঙ্গিদের হাতে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদাহ অস্ত্রগুলো তৈরি হয়। এমন তথ্য শুধু দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারাই জানাননি, ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও এমনটি জানিয়েছে। তাঁরা বলছেন, গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত রাইফেল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় তৈরি করা হয়। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার ছয় জঙ্গির একজন এমনটাই জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এর আগে ইনকিলাবকে বলেন, দেশে বিভিন্নভাবে অবৈধ অস্ত্র আসছে। আমরা ইতোমধ্যে বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধারও করেছি। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ব্যবসায়ীও গ্রেফতার হয়েছে বিভিন্ন অভিযানে। তিনি বলেন, শুধু ভারত থেকে নয়, বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র আসে। গুলশানে জঙ্গি হামলায় যে সব অস্ত্র জঙ্গিরা ব্যবহার করেছে সেগুলো ভারত সীমান্ত হয়ে দেশে প্রবেশ করে। আমাদের তদন্তে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। আমরা জঙ্গিদের কাছ থেকে ৮ রাইফেল উদ্ধারও করেছি।
এর আগে গুলশান হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ভারতের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে আসে বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বছরের পর বছর ধরে এসব ভয়ঙ্কর অস্ত্র সীমান্ত পাড় হয়ে দেশে প্রবেশ করছে। মাঝে মধ্যে সীমান্তে কিছু অস্ত্র উদ্ধার হলেও বেশিরভাগই রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। বাংলাদেশকে টার্গেট করেই ভারতের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র তৈরি হয় এবং এসব অস্ত্রের চালান সীমান্ত হয়ে দেশে প্রবেশ করছে।
ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে (এনআইএ) ওই জঙ্গি বলেছেন, মালদার আস্তানায় পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় অস্ত্র বানানো হয়। বিহারের মুঙ্গের থেকে আসা অস্ত্র প্রস্তুতকারকদের প্রশিক্ষণ দিতে গোপনে মালদা আসেন পাকিস্তানি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অস্ত্র প্রস্তুতকারকেরা। একে-২২ রাইফেল তৈরির জন্য সীমান্তবর্তী জেলায় ঘাঁটি স্থাপন করা হয়। সেখানে তৈরি করা অস্ত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হয়। গুলশান হামলার এক মাস আগে একে-২২ রাইফেল ও পিস্তল ঢাকার জঙ্গিদের কাছে পৌঁছায় বলে এনআইএর ধারণা।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ট্রেন, বাস, মালবাহী পিকআপ, ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক এবং সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে আনা হচ্ছে অস্ত্রের চালান। রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে সাম্প্রতি অবৈধ অস্ত্র আমদানির পরিমাণ বেড়েছে বলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাই শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে অন্তত ৯০ ভাগ অস্ত্র নিয়ে আসছে। পরে সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে।
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন থানা সূত্র জানায়, গত ৯ মাসে এ দুটি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কেবল র্যাব রাজশাহী-৫-এর সদস্যরাই ১২০টি অস্ত্র উদ্ধার করে। অস্ত্রগুলোর মধ্যে বিদেশি পিস্তল, রিভলবার, শুটারগান, পাইপ গান এবং এলজি।
সূত্র মতে, কিছু কিছু অস্ত্র ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে করে আমদানি করা হয়েছে। আর কিছু আসছে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে।
ডিবি জানায়, রাজধানীর সবুজবাগ থেকে ৩টি বিদেশি পিস্তলসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় তারা জানিয়েছেন, যশোর সীমান্ত থেকে অস্ত্র কিনে এনে তারা ঢাকায় বিক্রি করেন। ৭.৬৫ বোরের পিস্তলগুলো তারা ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। অস্ত্রগুলো বেশিরভাগ ভারত ও পাকিস্তানের তৈরি। বেশিরভাগ অস্ত্রই আসছে সীমান্ত এলাকা থেকে। সহজেই চলে যাচ্ছে সন্ত্রাসীদের হাতে। প্রতিনিয়ত হাতবদলও হচ্ছে এসবের। ভাড়ায় খাটছে অনেক অবৈধ অস্ত্র। এমনকি বৈধ অস্ত্রধারীরাও তাদের অস্ত্র ভাড়া দিচ্ছেন সন্ত্রাসীদের কাছে। আবার ভুয়া লাইসেন্স দেখিয়েও অস্ত্র কিনছে অনেক সন্ত্রাসী চক্র। এমন এক পরিস্থিতিতে জঙ্গি থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব সন্ত্রাসীর হাতে এখন অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র শোভা পাচ্ছে।
গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় যে পরিমাণ অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে, তাতে এটা নিশ্চিত যে দেশের অভ্যন্তরে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকেছে। জঙ্গিদের কাছেই রয়েছে অত্যাধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কর্মকর্তার মতে, হলি আর্টিজানে হামলাকারী জঙ্গিরা সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য। এতে কোনো সন্দেহ নেই। সুইসাইড স্কোয়াডের এই সদস্যরা যেসব অস্ত্র এনেছিলেন তারা জানতেন অস্ত্রগুলো তাদের আস্তানায় আর ফিরবে না। এতেই বোঝা যাচ্ছে তাদের কাছে আরও কত অস্ত্র রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) একাধিকবার জানিয়েছে, ভারত থেকে চোরাইপথে বাংলাদেশে অস্ত্র আসছে। পুলিশের দাবি, ভারত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ তার পার্শ্ববর্তী সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করে। শুধুমাত্র রাজধানীতেই ১৫টি গ্রুপ এসব অবৈধ অস্ত্র কেনা-বেচার কাজ করছে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যও রয়েছে। সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন সহিংস ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ এ তথ্য পেয়েছে।
পুলিশের দাবি, এই গ্রুপগুলোই ডিলারদের কাছে অস্ত্রের চাহিদা দিয়ে থাকে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী ডিলাররা অস্ত্র সরবরাহ করে। ১৫টি গ্রুপের প্রতিটিতে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া তিন অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পুলিশ এমন তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত আগস্টে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনাগুলোতে অনেক লোকের প্রাণহানিও হয়েছে। ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ইত্যাদি কাজে এসব গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল। এসব ঘটনায় ডিএমপির অপরাধ বিভাগ অস্ত্র ধরতে মাঠে নামে। গত সেপ্টেম্বরে চারটি অস্ত্রসহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ভারত থেকে একটি পাচারকারী চক্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ হয়ে রাজধানীতে অস্ত্র পাচার করত।
তিনি বলেন, এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর দারুসসালাম থানার কল্যাণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলো কামাল হোসেন (৩৬), রুহুল আমিন (৩০) ও মনিরুজ্জামান শিমুল (৩৯)। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, ৫টি বিদেশি পিস্তল, ৮টি ম্যাগজিন ও ২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে শিমুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অস্ত্র নিয়ে ঢাকায় আসত। গ্রেফতার হওয়া কামাল ও আমিনকে অস্ত্র এবং গুলি সরবরাহ করার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম বিভাগ রাজধানীর আজিমপুরের শহীদ মাজারের সামনের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে চার ডাকাত সর্দারসহ চারজনকে আটক করে। এরা হলো ডাকাত সরদার জুলহাস আকন (৪৮), সদস্য আব্দুস সাত্তার (৪৫), রকি হোসেন (৩২) ও এমদাদ হোসেন (৩০)। তারা বাসাবোর একটি বাসায় ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে তারা।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের সর্দার জুলহাস-এর আগে ১২ বছর জেল খেটে কিছুদিন আগে বের হয়েছেন। রকি, সাত্তার ৬ বছর করে জেল খেটেছেন এবং এমদাদ ২ বছর জেল খেটে কিছুদিন আগে বের হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ঢাকাসহ সারা দেশে দুই শতাধিক অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসায়ী রয়েছেন। সীমান্তপথে ভারত ও মিয়ানমার থেকে এসব রুটে সহজেই বাংলাদেশে আনছেন অস্ত্রের চালান। এ ছাড়া চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ে দেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র তৈরি করা হয়। খুন-ডাকাতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ ছিনতাই কাজেও অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। গেল বছর ইতালির নাগরিক তাভেলাকে খুন করার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটিও উদ্ধার করা যায়নি এখনো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।