Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে দ্বিমত আইনমন্ত্রীর

প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টাও : ‘দ্বৈত শাসন’ বিচার বিভাগের ধীরগতির অন্যতম কারণ বলে প্রধান বিচারপতি যে কথা বলেছেন, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে ওনার (প্রধান বিচারপতি) বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। প্রধান বিচারপতি সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদটি বাহাত্তরের সংবিধানে যেমন ছিল তেমনই করার বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিকে স্ববিরোধী বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।
গত সোমবার বিচার বিভাগ পৃথককরণের নয় বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, বিচার বিভাগে দ্বৈত শাসনের ফলে বহু জেলায় শূন্য পদে সময়মতো বিচারক নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এতে বিচারকার্যে বিঘœ ঘটে। বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি বেড়ে যায়।
শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বিশ্বাস করেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রয়োজন হলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করা হতে পারে। ১৯৭২ সালের সংবিধানে চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের কথা বলা ছিল। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের এক নম্বর ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট সে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ না করে বিচার বিভাগের কোনও কিছু পরিবর্তন করেছেন এমন তথ্য আমাদের কারোই জানা নেই। যা করা হয়েছে প্রধান বিচারপতির অনুমতি নিয়েই করা হয়েছে। আমিও মন্ত্রী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সব সুপারিশ মানার চেষ্টা করি। সুপ্রিম কোর্ট দেশের সম্পদ। দেশের মানুষের শেষ ভরসাস্থল। তাই সুপ্রিম কোর্ট বিষয়ে কোনও কিছু করতে হলে আমি অতি সাবধানতা অবলম্বন করি। সুপ্রিম কোর্ট এবং বঙ্গভবনের মধ্যে সেতুর ভূমিকা পালন করে আইন মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের গতিশীলতা আনতে সব কাজই করবে। কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই বিজ্ঞ বিচার বিভাগের কাজের সরকার কখনই হস্তক্ষেপ করবে না। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘তাভেল্লা সিরাজ হত্যা মামলার আসামিকে নিম্ন আদালত জামিন দেয়নি। কিন্তু উচ্চ আদালত জামিন দিয়েছেন। মাহমুদুর রহমানও জামিন পেয়েছেন। সরকার যদি হস্তক্ষেপ করতো তাহলে এই স্বাধীনতা কি থাকতো বিচার বিভাগের?’ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগ আদালতের বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপ করবে না। সরকার মনে করে গণতন্ত্রের বিকাশ ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার খুব প্রয়োজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে দ্বিমত আইনমন্ত্রীর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ