পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সবার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। খাদ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য সরকার দেশে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। ল্যাবরেটরিতে মাছ, গোশত, দুধ, ডিম পরীক্ষা করে এর গুণগত মান ও পুষ্টিমান নিশ্চিত করা যাচ্ছে।
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে গতকাল জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। মৎস্য মন্ত্রী বলেন, একটা সময় আমরা খাদ্য সঙ্কট দূর করতে চেয়েছি। দেশে এখন খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকছে। সরকার এখন চায় নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিত করতে। পরে গুণগতমানের আরও সমৃদ্ধ খাদ্য সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য হচ্ছে দেশে গর্ভবতী মা, ছোটশিশু, যুবক ও বৃদ্ধরা যেন পরিপূর্ণ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পান। এভাবে সবার জন্য নিরাপদ খাবার পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন তৈরি করেছেন, যার ফলে ২০১৫ সালের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে খাদ্যের সঙ্কট নয়, উদ্বৃত্ত থাকছে। খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, খামারি, উদ্যোক্তারাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মাঠ পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কর্মকর্তারা এ কৃতিত্বের দাবিদার। এক সময় আমরা বলতাম খাদ্য ঘাটতি মেটাতে হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন শুধু খাদ্য ঘাটতি নয়, খাদ্যের গুণগত মানের পরিবর্তন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশে কোনো খাবারের সঙ্কট নেই। উল্টো সর্বকালের সেরা মজুত রয়েছে সরকারের হাতে। সে মজুত থেকে নিম্নআয়ের মানুষকে ওএমএসের (খোলাবাজার) মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। কেউ না খেয়ে বা আধাপেটে নেই। বিএনপির অপপ্রচার থেকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খুব সাবধানে থাকতে হবে আমাদের। তারা উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত করতে বিশ্ব মহলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নিয়োগ করেছে লবিস্ট। দেশটাকে তারা আবারও অস্থিতিশীল করতে চায়।
তিনি বলেন, যারা উন্নয়নের বাধা দিচ্ছে, তারা এ দেশের কোনো উন্নয়ন করেনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে সার নিতে গিয়ে ১৯ জন কৃষক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে সব উন্নয়ন হয়েছে। তারা (বিএনপি) এসে আবার সেটা ২০০১ সালে বাধাগ্রস্ত করেছে। ২০০৮ সাল থেকে আমরা আবার উন্নয়ন করছি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।