পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টানা ৮১দিন হাসপাতালে থাকার পর গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স-কর্মচারিদের সাথে বিদায় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রওনা হন। নেতা-কর্মীদের প্রচণ্ড ভিড় ডিঙিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় ফিরোজায় পৌঁছান তিনি।
বাসায় পৌঁছালে বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুর সাত্তারসহ খালেদা জিয়ার ভাই মরহুম সাইদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার ও প্রমূখ তাকে স্বাগত জানান। নেতা-কর্মীদের ভিড়ে গাড়ি বাসায় ঢুকাতেও নিরাপত্তা কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়।
গত ১৩ নভেম্বর লিভারে সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ওই সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুতই তাকে সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) ভর্তি করা হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। সিসিইউতে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ক্ষণে ক্ষণে রক্তক্ষরণ আপাতত বন্ধ হলে খালেদা জিয়াকে কেবিনে স্থানান্তরীত করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় আগমনে গুলশানের বাসায় সড়কের দুই পাশে কয়েক‘শ নেতা-কর্মীরা ভিড় করে। তারা গেইটের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নেত্রীকে হাত তুলে সালাম জানায়। ওই সময় নেত্রী মাস্কপরা অবস্থায় গাড়ির ভেতর থেকে হাত তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তিনি। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর তাঁর দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর গুলশানের ভাড়া বাসায় ওঠেন তিনি। গত বছর এপ্রিলে করোনা সংক্রমণ হলে এভারকেয়ার হাসপাতাল ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সে দফায় ৫৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরেছিলেন তিনি।
এরপর কয়েক মাস না যেতেই গত নভেম্বরে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে ভর্তি হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তাঁর চিকিৎসায় ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ ছাড়া রাজধানীর অন্তত দুটি বেসরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত হন।
পরীক্ষা–নিরীক্ষায় খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়েছিল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন। চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় গত ৯ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। বিএনপি নেতারা এর মধ্যে বেশ কয়েকবার খালেদা জিয়ার জীবনশঙ্কা প্রকাশ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। এই দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে বিএনপি।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।