Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশে ৫ জানুয়ারির মতো কেরামতির নির্বাচন চালু হয়েছে -ড. কামাল হোসেন

প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে ৫ জানুয়ারির মতো কেরামতির নির্বাচন চালু হয়েছে। জনগণ এই কেরামতির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ধরনের নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। গতকাল শনিবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু, হলমার্ক, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারীর সঠিক বিচার হচ্ছে না। এগুলো নিয়ে তিনি নিজ দলসহ সর্বস্তরের জনগণকে সোচ্চার হতে বলেন। তিনি বলেন, প্রশাসন আর পুলিশ ছাড়া অন্যান্য কেন্দ্রীয় সার্ভিসের কর্মকর্তাবৃন্দ-শিক্ষক কর্মচারি সবাই ক্ষুব্ধ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, মানুষের শান্তি-স্থিতিশীলতা কায়েমের জন্য আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে দলীয়করণমুক্ত পুলিশ ও প্রশাসন দরকার। তিনি বলেন, দেশে সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষাঙ্গন বজায় রাখতে সুস্থ রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার সুফল কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সভায় পার্টির অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, আ ও ম শফিকউল্লাহ মোস্তাক আহমদ, সাইদুর রহমান, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ কোন দলের বাহিনী হতে পারে না
গণফেরাম সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, পুলিশকে দলীয়ভাবে অপব্যবহার করা যাবে না। পুলিশ কোন দলের বাহিনী হতে পারে না। তিনি বলেন, পুলিশ ও প্রশাসনে রোগ ঢুকে গেছে। স্বাধীন দেশে দলীয় সরকার, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করবে- এটা কিন্তু সংবিধানপরিপন্থী। গতকাল রাজধানীর আরামবাগস্থ গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশকে দলীয়ভাবে অপব্যবহার করা যাবে না। পুলিশ কোনো দলের বাহিনী হতে পারে না। আপনারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে এটা সবাইকে বোঝাবেন। তিনি বলেন, ‘আজকে পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তো আমাদের এই দেশেরই ছেলে। তারা এভাবে মানসিকভাবে রুগ্ন হবে কেন? তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তার অর্থ এটা সত্য। এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, পুলিশ আমাদের শত্রু না। তারা যেভাবে রুগ্ন হচ্ছে, সেই রোগ থেকে তাদের মুক্ত করতে হবে। পুলিশ চাই, আইনের শাসনের জন্যই পুলিশ চাই। কিন্তু সেই পুলিশ এইভাবে মানুষকে ধরে বলবে- এটা আমার দাবি, এটা মানতে হবে এটা চাই না। তিনি বলেন, ‘পুলিশ অপরাধ করে হাতেনাতে ধরা পড়ছে। এটা কিসের আলামত? রোগের আলামত। যদি বলি, পুলিশের দরকার নেই। এটা একদম না। পুলিশকে রোগমুক্ত কর। প্রশাসনকে রোগমুক্ত কর, দুর্নীতিমুক্ত কর। বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে, নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানে বলা আছে, জনগণ ক্ষমতার মালিক। মালিককে মালিকের ভূমিকা রাখতে হবে। এই ভূমিকা রাখতে অনেক সময় কিছুটা ঝুঁকিও নিতে হয়। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির মতো কেরামতির নির্বাচন চালু হয়েছে দেশে। জনগণ এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ধরনের নির্বাচন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। মানুষ শান্তি চায়, স্থিতিশীলতা চায়, সুশাসন চায়, আইনের শাসন চায়। স্বাধীন দেশে দলীয় সরকার, দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করবে এটা ঠিক নয়। দলীয় সরকার থাকবে, কিন্তু তাতে সংবিধান মেনে ক্ষমতা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ কোনো ধর্মের শিক্ষা হতে পারে না। যারা এগুলো করে, তারা অসুস্থ। তাদের সুস্থ করার দায়িত্ব আমাদের। ‘চাঁদাবাজির জন্য রাজনীতি, দখল করার জন্য রাজনীতি কোনো রাজনীতি নয়। এটা হলো রুগ্ন রাজনীতি। মানে এটা একটা গুরুতর রোগ, এতে কারও দ্বিমত থাকতে পারে না। সভায় উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, আ ও ম শফিকউল্লাহ মোস্তাক আহমদ, সাইদুর রহমান, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশে ৫ জানুয়ারির মতো কেরামতির নির্বাচন চালু হয়েছে -ড. কামাল হোসেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ