পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনা কমিশনের ‘স্মার্ট প্রি পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ইন ডিস্ট্রিবিউশন জোনস অফ বিপিডিবি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটাররভুক্ত হচ্ছেন ১০ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক। প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬১৯ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৬৯ কোটি ৬৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, এশীয় উন্নয়ন উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ সহায়তা থেকে ৩২৮ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১২০ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শতভাগ রাজস্ব আদায়, সিস্টেম লস এক শতাংশ হ্রাস এবং গ্রাহকদের দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত সেবা দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যেসব এলাকার গ্রাহক এই মিটারের আওতায় আসবে সেগুলো হলো-চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সীতাকুন্ড, হাটহাজারী এবং পটিয়া উপজেলা। কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর উপজেলা। বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদর উপজেলা। রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা। খাগড়াছড়ি জেলার খাগরাছড়ি সদর উপজেলা।
কুমিল্লা জেলার কুমিল্লা সিটি করপোরেশন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা। ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলা। কিশোরগঞ্জ জেলার কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর এবং ভৈরব উপজেলা। টাঙ্গাইল জেলার টাঙ্গাইল সদর উপজেলা। ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলা। সিলেট জেলার সিলেট সিটি করপোরেশন উপজেলা।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিদ্যমান পোস্টপেইড মিটারিং সিস্টেমে যথাসময়ে বিল পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ মিটারিং পদ্ধতিতে সিস্টেম লস তুলনামূলকভাবে বেশি। এছাড়া, বর্তমান পদ্ধতিতে অনুমোদিত লোডের চেয়ে বাড়তি লোড ব্যবহার এবং মিটার টেম্পারিং রোধের সুযোগ নেই। স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার ব্যবহারের মাধ্যমে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার সিস্টেম লস কমানো যাবে, অন্যদিকে যথাসময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের মাধ্যমে শতভাগ রাজস্ব আদায়ও সহজতর হবে। আবার গ্রাহকের অনুকূলে বরাদ্দ করা লোডের অতিরিক্ত লোড ব্যবহার করা হলে মিটার টেম্পারিং সংকেত দেওয়ার মাধ্যমে লোড বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমে ১০ লাখ ২০ হাজার সিঙ্গেল ফেজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন, ৩০ হাজার থ্রি-ফেজ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন, ৮ হাজার ৮৩১টি এনক্লোজার বক্সসহ ডাটা কনসেন্ট্রেটর ইফনিট স্থাপন, ২৫টি প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপনের জন্য হ্যানন্ড হেল্ড এবং ৮ হাজার ৮৮১টি তথ্যভান্ডার ও ভোক্তার সেবা সংক্রান্ত নেটওর্য়াক স্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চারটি বিতরণ জোন চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও সিলেটের আওতাধীন ২৫টি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সব গ্রাহককে স্মার্ট প্রি-প্রেমেন্ট মিটার ব্যবহারের আওতায় আনা যাবে। ফলে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন, সিস্টেম লস হ্রাস, বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি শতভাগ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।