Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন : তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও এই হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করাকে এদেশে মানবাধিকারের সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের ২২তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা হচ্ছে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির প্রতিষ্ঠাতা, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতার হত্যাকান্ড এবং তার পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ইনডেমনেটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তরিত করে হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করা। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ঊষালগ্নে মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের সহায়তা করে যুদ্ধাপরাধ করেছিলো সেটিও ছিলো মানবাধিকারের বিরুদ্ধে অপরাধ।

তিনি বলেন, এই যুদ্ধারপরাধীদের বিচার করা তো দূরের কথা বরং জিয়াউর রহমান এবং বেগম খালেদা জিয়া তাদেরকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুণর্বাসিত করেছিলো। একইসাথে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নিষ্কন্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছিলো। আর বেগম জিয়ার আমলে প্রকাশ্যে দিবালোকে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিলো এবং বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিলো।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ন্যায় ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এই অন্যায়গুলোর বিচারের ব্যবস্থা নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার হয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের সভাপতি ড. ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের খবর গণমাধ্যমে প্রচার করা হাইকোর্টের নির্দেশের বরখেলাপ বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে দেখলাম বিএনপির একটি সভা হয়েছে। সেই সভায় ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেছে বিদেশে পলাতক আসামি তারেক রহমান। আমি গণমাধ্যমকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, হাইকোর্টের নির্দেশ আছে তারেক রহমানের কোনও সংবাদ গণমাধ্যম প্রচার করতে পারবে না। এটা করা (সংবাদ প্রচার) হাইকোর্টের নির্দেশের বরখেলাপ। মন্ত্রী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে চিঠিদাতাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকে না। জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে বুঝতে পেরে বিএনপি এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে দস্তখত দিয়ে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য। সাহায্য মানুষের জন্য, জনগণের জন্য আসে, সাহায্য সরকারের জন্য আসে না। যে রাজনৈতিক দল নিজেরা স্বাক্ষর করে বাংলাদেশে সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকে না
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ