পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী গড়ে লক্ষ্যে বিদ্যমান নানা সমস্যা কমিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী, ড্যাপ বাস্তবায়নের পর ঢাকাকে ছয়টি অঞ্চলে ভাগে করে লেক, খাল এবং নদীকে সংযুক্ত করে যোগাযোগের মাধ্যম প্রতিষ্ঠা করা এবং বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতা নিরসন, বিনোদনমূলক পার্ক করাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সংশোধিত ড্যাপ ২০১৬-২০৩৫ এর গেজেট প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সংশোধিত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে রিভিউ সংক্রান্ত গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চুড়ান্ত গেজেট অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন দিলে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর চুড়ান্ত গেজেট অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করতে পারবে রাজউক।
এ জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার অফিস আদেশ জারি করেছে। অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সংশোধিত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) চূড়ান্ত করণের সময় বাড়িয়ে। জারিকৃত প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, ২০১০ সালের গেজেটভুক্ত ড্যাপের মেয়াদকাল সংশোধিত ড্যাপ চূড়ান্ত করে গেজেটভুক্ত করার আগ পর্যন্ত বাড়ানো হল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টাউন ইমপ্রুভমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৩ এর ধারা ৭৩ এর উপধারা-১ এর বিধান মোতাবেক সরকার কর্তৃক ২০১০ সালের ২২ জুন রাজউকের মাস্টারপ্ল্যান বা ড্যাপ চূড়ান্ত করা হয়। এ মহাপরিকল্পনা রাজউকের আওতাধীন ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য চূড়ান্ত করা হয়। এ মাস্টারপ্ল্যানের সিদ্ধান্তগুলো সংশোধিত ড্যাপ ২০১৬-২০৩৫ এর গেজেট প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
গত ডিসেম্বর মাসে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ও ড্যাপ রিভিউ সংক্রান্ত গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করা হয়েছে।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, রাজউকের উদ্যোগে প্রণীত নতুন ড্যাপে থাকবে ভূমি পুনর্বিন্যাস, উন্নয়নস্বত্ব, প্রতিস্থাপন পন্থা, ভূমি পুনঃউন্নয়ন, ট্রানজিটভিত্তিক উন্নয়ন, উন্নতিসাধন ফি, স্কুল জোনিং ও ডেনসিটি জোনিং। ওয়ার্ডভিত্তিক জনঘনত্বের বিষয়ে দিক নির্দেশনাও থাকছে ড্যাপে।
ড্যাপে ভূমি ব্যবহার প্রস্তাবনায় ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৬০ শতাংশ এলাকাকে নগর ধরা হয়েছে। এতে আবাসিক এলাকা ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (আবাসিক প্রধান) ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (আবাসিক-বাণিজ্যিক) শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ, বাণিজ্যিক এলাকা শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (বাণিজ্যিক প্রধান) ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, মিশ্র ব্যবহার এলাকা (শিল্প প্রধান) ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক এলাকা ৪ দশমিক ১ শতাংশ, ভারী শিল্প এলাকা ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, পরিবহন যোগাযোগ (বিদ্যমান) ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, পরিবহন যোগাযোগ (প্রস্তাবিত) ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, কৃষি এলাকা ২৯ দশমিক ২২ শতাংশ, জলাশয় ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ, বনাঞ্চল ১ দশমিক ৪১ শতাংশ, উন্মুক্ত স্থান ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।