পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্যারাডাইজ এবং পানামা পেপার্সে যেসব বাংলাদেশীদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিআইডি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি ব্যাংকে যারা অর্থ রেখেছেন, তাদের একটি তালিকা দাখিল করতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস। দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন খুরশিদ আলম খান। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানিতে অংশ নেন।
এর আগে প্যারাডাইজ ও পানামা পেপার্সে ৬৯ বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা গত ২৬ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করে বিএফআইইউ। গতকাল বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে দাখিলকৃত তালিকায় দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে প্যারাডাইজ পেপার্সে ‘মাল্টিমোড লিমিটেড’ মালিক আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ফাতেমা নাসরিন আউয়াল, তাবিথ আউয়াল, মোহাম্মদ তাফসির আউয়াল, মো: তাজওয়ার আউয়াল, মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের ফয়সাল চৌধুরী, ওয়াই ফরিদা মোগল, শহিদ উল্লাহ, সামির আহমেদ, সেভেন সিজ অ্যাসেটস লিমিটেড, সোয়েন ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, ব্রামার অ্যান্ড পার্টনার্স অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ এক্সপ্লোরেশন লিমিটেড, ইউনোকল শাহবাজপুর পাওয়ার লিমিটেড, ইউনোকল শাহবাজপুর পাইপলাইন লিমিটেড, এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) পিটিই লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক সেভেন লিমিটেড, ইউনোকল শাহবাজপুর লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক ফাইভ লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক টেন লিমিটেড, বারলিংটন রিসোর্সেস বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লকস থারটিন অ্যান্ড ফরটিন লিমিটেড, ইউনোকল বাংলাদেশ ব্লক টুয়েলভ লিমিটেড, ফ্রন্টিয়ার বাংলাদেশ (বারমুডা) লিমিটেড, টেরা বাংলাদেশ ফান্ড লিমিটেড।
পানামা পেপার্সে নাম আসা ৪৩ জনের মধ্যে রয়েছেন, বেগম নিলুফার কাজী, হংকং সাংহাই টেক্সটাইল স্পিনিং লিমিটেডের মালিক জাফরুল্লাহ কাজী (কাজী জাফর উল্লাহ), তার ছেলে কাজী রায়হান জাফর, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডারের ক্যাপ্টেন সোহাইল হোসাইন (হাসান), স্পার্ক লিমিটেড’র চেয়ারম্যান ইফতেখারুল আলম, বাংলা ট্র্যাক লিমিটেড’র আমিনুল হক, নাজিম আসাদুল হক ও তারিক ইকরামুল হক, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের এএসএম মহিউদ্দিন মোনেম ও আসমা মোনেম, বিএপিআইয়ের সাবেক সভাপতি ড. এ এমএম খান, মমিন টি’র আজমত মঈন, পাট ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার মোদী, অনন্ত গ্রুপের শরীফ জহির, মার্কেন্টাইল কর্পোরেশনের আজীজ খান, আঞ্জুমান আজীজ খান, আয়েশা আজীজ খান, জাফের উমায়ের খান ও ফয়সাল করিম খান, সি পার্ল’র চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সিরাজুল হক, ইউনাইটেড গ্রুপ অব কোম্পানির হাসান মাহমুদ রাজা, খন্দকার মঈনুল আহসান শামীম, আহমেদ ইসমাইল হোসেন, আখতার মাহমুদ, মাসকট গ্রুপ’র চেয়ারম্যান এফএফ জোবায়দুল হক, সেতু কর্পোরেশন’র মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও উম্মে রাব্বানা, স্কয়ার গ্রুপের স্যামসন এইচ চৌধুরী, এছাড়া বিটিএল, ক্যাপ্টেন এম এ, এফএম জোবায়দুল হক, সালমা হক, খাজা শাহাদাৎ উল্লাহ, মীর্জা ইয়াহিয়া, সৈয়দা সামিয়া মীর্জা, আমিনুল হক, তারেক একরামুল হক, জাহিদুল ইসলাম, মো: শহীদ, মোহাম্মদ ফয়সাল করিম, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ সিরাজুল হক এবং জুলফিকার হায়দার। বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা দাখিল করতে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।