পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামিক দল ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’র নামে বেহায়াপনা-অশ্লীলতা নিষিদ্ধসহ ৩ দফা দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিরাট মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শফিক রেহমান কর্তৃক ১৯৯৩ সালে তৎকালীন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘যায়যায়দিনের’ মাধ্যমে প্রবর্তিত ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে এবং এদেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে-কে নিষিদ্ধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নাস্তিকঘেঁষা শফিক রেহমান এদেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে তথা ‘বেহায়াপনা দিবস’ আমদানি করায় দেশের অশ্লীলতা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এদিনে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া, জড়িয়ে ধরা, সম্ভ্রমহরণে মত্ত হওয়া, মদ খাওয়া, নাচানাচি করা, ডিজে পার্টি করা, উল্কি আঁকাসহ হাজারো অশ্লীলতার মাধ্যমে পারিবারিক-সামাজিক তথা ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। ভালোবাসা দিবসের ফলে মানবসমাজে অসামাজিকতা, অনৈতিকতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নগ্নতা ও অবৈধ যৌনতার বিষাক্ত ছোবলে মানবিক, নৈতিক, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ মারাত্মক হ্রাস পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কথিত ভ্যালেন্টাইনস ডে’র ফলে সমাজে অবৈধ যৌনাচার প্রসার ঘটছে। বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতি যুবসমাজকে উৎসাহিত করছে। এসব অবৈধ মিলনের মারাত্মক ছয়লাবে সমাজে ধর্ষণ, পরকীয়া, অবৈধ গর্ভধারণ, গর্ভপাত, আত্মহত্যা ও সংসার ভাঙা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এসব অনুষ্ঠানের নামে বিদেশী টাকা ঢুকছে। মাদক সরবরাহ হচ্ছে। বিবস্ত্রপনা ও দেহভোগের ব্যবস্থা হচ্ছে। বিশেষ করে ভয়ঙ্কর শব্দ দূষণ করছে। আযান এবং ওয়াজের বিরোধিতাকারী শফিক রেহমানের মতো তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা এদের বিরুদ্ধে কিছু বলছে না। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে রাজপথে ও প্রকাশ্যে সব বিজাতীয় আচার-অনুষ্ঠান ও কর্মকা- নিষিদ্ধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ভ্যালেন্টাইনস ডের অশ্লীলতা সমাজে ব্যাপক ছড়িয়ে দিতে দেশবিরোধী ও ইসলামবিরোধী কুচক্রীরা আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার অনুষ্ঠানেরও ঘোষণা দিয়েছে। এটা বন্ধ করা দরকার।
বক্তারা বলেন, গত থার্টিফার্স্ট নাইটে ডিএমপি সব বার, ক্লাব বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেছিল। এমনকি ঢাবি কর্তৃপক্ষ ছেলে-মেয়েদের একত্রে জড়ো হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সুতরাং থার্টি ফার্স্ট নাইটে এসব নিষিদ্ধ করা গেলে, থার্টিফার্স্টের চেয়ে ভয়াবহ অশ্লীলতা ভ্যালেন্টাইনস ডে কেন নিষিদ্ধ করা হবে না?
নেতৃবৃন্দ বলেন, পঁচানব্বই ভাগ জনগোষ্ঠী তাদের দ্বীন ইসলামের আদর্শ জানে না। তাদেরকে ইসলাম শেখানো হয় না। পাঠ্যপুস্তকে ইসলাম নেই। খেলোয়ারদের, নায়ক-নায়িকাদের, সাহিত্যিকদের বিশেষ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হয়। কিন্তু ওলীআল্লাহ, দরবেশ, পীর সাহেব, মুছল্লী, মুত্তাকীদের কোনো মূল্যায়ন করা হয় না। ধর্মপ্রাণদের উৎসাহ দেয়া হয় না। তাই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে পারিবারিক মূল্যবোধ, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী এই অশ্লীল ভ্যালেন্টাইনস ডে নিষিদ্ধ ও প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে এবং এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা নূর মুহম্মদ আহাদ আলী সরকার। সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশনের সভাপতি আলহাজ্জ মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশনের সভাপতি আলহাজ্জ লায়ন মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর ছিদ্দীক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।