Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেয়রের অভিযানে মালপত্র লুট

রাজধানীর কোনো খাল ভরাট করা যাবে না : ডিএনসিসি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

খাল উদ্ধার অভিযানে আবাসন কোম্পানির মালপত্র লুটপাট করেন ডিএনসিসির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজন। লুটপাটের সংবাদ সংগ্রহে ভিডিওচিত্র ধারণ করায় এ সময় সাংবাদিককে লাঞ্ছিতও করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খিলক্ষেতের কুড়িল উড়াল সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেয়রের উপস্থিতিতেই ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসাহাক মিয়ার কর্মী ও সমর্থকেরা ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন সাইট অফিস ভাঙচুর করেন। অফিসটির জানালার লোহার গ্রিলগুলো খুলে নিয়ে যান নেতা-কর্মীরা। পাশেই ছিল নির্মাণ কর্মকর্তাদের বসার, শ্রমিকদের থাকার ও মালপাত্র রাখার অস্থায়ী টিনের ছাউনির ঘর। ওই ঘরের ভেতর থাকা সিমেন্টের বস্তা, চেয়ার, টেবিল, লোহার রড ও লোহার অন্য কাঠামো লুটপাট করতে শুরু করেন কাউন্সিলরের কর্মীরা। এ সময় করপোরেশনের পোশাক পরিহিত পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ দৃশ্য ভিডিও করতে গেলে ওই কর্মীরা দূরে সরে গিয়ে রিকশাচালক ও এক শ্রমিককে কাজ চালিয়ে যেতে বলেন।
ভিডিও ধারণ করতে দেখে কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হাসমত আলী পাশ থেকে সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সিমেন্টের বস্তা লুটকারীদের একজন ফিরে এসে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভিডিও ডিলিট করতে বলেন। এই লোক সাংবাদিকের শার্টের কলার চেপে ধরে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
ডেভেলপার কোম্পানির মালপত্র সরানোর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক মাসুম আহমেদ বলেন, কোনো সিমেন্টের বস্তা, জানালার গ্রিল, চেয়ার-টেবিল, লোহার রড-কাঠামো কিছুতেই হাত দিইনি। শুধু মেয়র যে বড় সাইনবোর্ড ভাঙার নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটা ভেঙে সরিয়ে নেয়ার কাজ করছি।
এদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে নগরীর কোনো খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। গতকাল সকালে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এর পাশের খাল উদ্ধার অভিযানে ডিএনসিসি মেয়র এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কুড়িল বিশ্বরোডের পাশের এই খাল যুগ যুগ ধরে নিকুঞ্জের মানুষকে পানিবদ্ধতা থেকে রক্ষা করে আসছে, এটি ভরাট করা হলে নিকুঞ্জসহ এয়ারপোর্ট রোডে বর্ষার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। খালের জায়গা সরজমিন পরিদর্শন না করেই বাংলাদেশ রেলওয়ে বরাদ্দ দিয়েছে, ১.৮৪ একরের এই খাল রক্ষায় প্রয়োজনে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এসময় রাস্তার পাশে অনুমতি ছাড়া নির্মিত মিলিনিয়াম হোল্ডিং লিমিটেডের একটি বিশাল সাইনবোর্ড ভেঙে উচ্ছেদ করা হয়।
এছাড়াও তিনি সৃষ্ট সমস্যার সম্ভব্য প্রতিকার নিয়ে রেলওয়ে মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন। উচ্ছেদ অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলামসজ স্থানীয় কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেয়রের অভিযানে মালপত্র লুট

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ