পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1722052795](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সন্তানদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সর সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত হাসান আহমেদের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। এসময় হাসান আহমেদ এর সন্তান ও স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তার স্বামী স্ট্রোক করেন। ওই সময় তিনি জানতে পারেন হাসান আহমেদের কোনো ব্যাংক হিসাব নেই। যৌথ হিসেব নম্বরে লেনদেন হতো। এরপর তার স্বামীর চিকিসার ব্যয় ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচের টাকা আনতে পপুলাল লাইফে গেলে তাকে কোনো টাকা পয়সা না দেয়া হয়নি। উল্টো তার ছোট ভাইদেরসহ তার বিরুদ্ধে পল্টন থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করে পপুলার লাইফ কর্তৃপক্ষ। যার এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। স্বামীর সম্পত্তি হিসাব না পেয়ে পল্টন থানায় জিডি করতে গেলেও তা নেয়নি পুলিশ।
এরপর আদালতে সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা মামলা করেন তিনি। গত দুবছর ধরে পরিবার পরিচালনার জন্য তাকে কোনো সহযোগিতা করেনি হাসান আহমেদেও পরিবার ও পপুলার লাইফ কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ জানুয়ারি বারডেম হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যান হাসান আহেমদ। কিন্তু তার জানাযায় পপুলার লাইফ ও তার পরিবারের কোনো স্বজন অংশ নেননি। মারা যাওয়ার পরদিন ২৫ জানুয়ারি জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন তার শাশুড়ী মানজুরা বেগম ও দেবর কবির আহমেদ।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সারাজীবন মানুষের উপকার করার পরও তার স্বামীর সন্মানজনক জানাযার আয়োজন করা হয়নি। এমনকি ধানমণ্ডিতে তার শ^শুরবাড়িতে লাশ নিয়ে গেলেও কেউ দেখতে যায়নি। তিনবারের সিআইপি হয়ে টাকার অভাবে চিকিসা হয়নি হাসান আহমেদের। হাসান আহমেদ অসুস্থ হওয়ার পর তার পালক ভাইকে (অটিস্টিক) পপুলাল লাইফের ভাইস প্রেসিডেন্ট বানানো হয়। মূলত টাকা ও সম্পত্তির অংশ থেকে তাকে ও সন্তানদের না দেওয়ার উদ্যেশ্যে এমন আচরণ করছে হাসান আহমেদের পরিবারের লোকজন। বর্তমানে তিন নাবালক সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন দেশের সনামধ্যন্য একজন ব্যবসায়ীর স্ত্রী। তিনি সন্তানদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।