পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
মিয়ানমারে গত ৯ অক্টোবর সংঘটিত সহিংসতার প্রেক্ষাপটে সহায়তার হাত বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। মিয়ানমারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহযোগিতারও প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গত রবিবার পররাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে ‘রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং এর পরের পরিস্থিতি’ নিয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এসব বিষয় আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের সীমান্ত ফাঁড়িতে আক্রমণের ফলে ৯ পুলিশ নিহত এবং রাখাইনে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ আক্রমণের পর চালানো সেনা অভিযানে প্রায় ১০ জন মারা গেছেন এবং সেনা অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশির একটি মিয়ানমার এবং সরকার সেখানে টেকসই নিরাপত্তা অবস্থা দেখতে চায়। আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে রোহিঙ্গা সমস্যার চিরস্থায়ী এবং টেকসই সমাধানে সহায়তা করতে সরকার প্রস্তুত। সাম্প্রতিক সহিংসতার পরে মিয়ানমার বাহিনী যেন নির্বিঘেœ তাদের অভিযান পরিচালনা করতে পারে এবং মিয়ানমারের সন্ত্রাসীরা যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সামনের মাসগুলোতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একাধিক বৈঠক হবে এবং সেখানে আরাকান (রাখাইন) প্রসঙ্গ আলোচিত হবে। সামনের মাসে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে এবং নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের কথা চলছে। এছাড়াও, সামরিক বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের অংশ হিসাবে মিয়ানমারের একটি সেনা প্রতিনিধিদলের ঢাকা আসার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সভার সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সু চি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের সহায়তা চান এবং প্রধানমন্ত্রী সেখানে টেকসই সমাধানের উপর জোর দেন।
প্রসঙ্গত, আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানরা জাতিগত হিংসার শিকার এবং প্রচুর রোহিঙ্গা মুসলমান মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।