করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছু ঊর্ধ্বমুখী। তার উপর গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব দিয়েছিল ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। কিন্তু গতকাল বুধবার বিইআরসির জরুরি বৈঠকে পৌঁছাতে পারেনি সংস্থাটি। সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বৈঠকটির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবগুলো আমলে নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে আরও যাচাই বাছাই করতে হবে। পেট্রোবাংলার চিঠিতে তথ্যের ঘাটতি রয়েছে। সেজন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য চাইবে কমিশন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে সূত্র জানায়, আমরা ছয়টা গ্যাস বিতরণ কোম্পানির গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এবং গ্যাস সঞ্চালন কোম্পানি জিটিসিএল এর সঞ্চালন চার্জ বৃদ্ধির প্রস্তাব পর্যালোচনা করছি। তবে পেট্রোবাংলা তাদের চিঠিতে যে তথ্যগুলো দিয়েছিল সেটার সাপোর্ট হিসেবে রেকর্ডপত্র দলিলাদি চেয়েছে কমিশন। আগামীকাল (আজ) পেট্রোবাংলাকে সে চিঠি পাঠানো হবে। এরপর আমরা বসবো। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কোনও প্রস্তাব কমিশন এখনও আমলে নেয়নি। পেট্রোবাংলার কাগজ পেলে আবার আলোচনায় বসা হবে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহ এবং চলতি সপ্তাহজুড়ে দেশের গ্যাস বিতরণ কোম্পানি এবং বিপিডিবি কমিশন নির্ধারিত ছকে গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে বুধবার কমিশনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে প্রস্তাবগুলোর সার্বিক বিষয় আলোচনা হয়। তাতে দেখা যায়, পেট্রোবাংলা তাদের যে চিঠি দিয়েছে তাতে সব তথ্য নেই। এ বিষয়ে আরও তথ্য প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন। তাই তথ্যগুলো চেয়ে পেট্রোবাংলাকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
কমিশন সূত্র বলছে, পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে যদি মনে করা হয় দাম বৃদ্ধি প্রয়োজন সেক্ষেত্রে প্রস্তাবগুলো আমলে নেওয়া হবে। আর যদি মনে করা হয় দাম বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই সেক্ষেত্রে প্রস্তাবগুলো ফেরত পাঠানো হবে। সেক্ষেত্রে আপাতত আর দাম বৃদ্ধি পাবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রায় এমনিতেই বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এরমধ্যে যদি গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে মানুষের জীবনে বাড়তি চাপ পড়বে।