Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিস্টেম ডিজিটাল হলে করফাঁকির সুযোগ কমে

কাস্টমস দিবসে কৃষিমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৪ এএম

সিস্টেম ডিজিটাল হলে করফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কমে যায়। তাই দক্ষতা বৃদ্ধি করে ফাঁকির সুযোগ কমাতে হবে। গতকাল বুধবার আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক একথা বলেন। তিনি বলেন, ওভার-ইনভয়েস ও আন্ডার-ইনভয়েসের মাধ্যমে বিরাট অংকের টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চলে যায়। প্রতিনিয়ত আমাদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে। যেমন-ব্যবসায়ীরা কিংবা সরকারি চাকরিজীবীরা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। এখানে আপনারা (কাস্টমস) অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। ডিজিটালাইজেশন এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া করফাঁকি দিয়ে কোনোভাবেই যেন দেশের টাকা বিদেশে পাচার না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে এনবিআরকে আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজ দক্ষিণ কোরিয়া এতো উন্নত হলো, তা কীভাবে সম্ভব হয়েছে। কারণ মানিলন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে তাদের দেশে বড় ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা ছিল। এর মাধ্যমে তারা বৈদেশিক মুদ্রাকে রক্ষা করে ভারী শিল্পের দিকে গেছে। শুধু ইলেকট্রনিক্স নয়, সব ভারী শিল্পে তাদের ভূমিকা রয়েছে। কাজেই আমাদেরও বৈদেশিক মানিল্ডারিংয়ের বিষয়ে কঠোর হতে হবে। সেমিনারে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমাদের কর-জিডিপি নয় শতাংশের বেশি হয় না। এটা নিয়ে অনেক কথা হয়। আমরা এটার কারণ অনুসন্ধান করে দেখেছি কর ছাড়ের কারণে অনেক রাজস্ব কমে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে কর ছাড়ের অনুরোধ আসে। অনেক সময় আমাদের না জানিয়ে কর ছাড়ের ঘোষণা দিয়ে দেওয়া হয় এতে আমরা বিব্রত হই।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিত করতে শিল্প কলকারখানায় কাঁচামাল আমদানি করতে কর ছাড় দিয়ে থাকি। এতে দেশের উন্নয়ন হয়, কর্মসংস্থান তৈরি হয়। আমরা দেখছি এগুলো যদি না দেই তাহলে কর-জিডিপি ১৬ শতাংশ হতো।
তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশনের কোনও বিকল্প নেই, ডিজিটাইজেশনের চ্যালেঞ্জ হলো স্বচ্ছতা। আমরা সবাই চাইলে এটি পরিবর্তন সম্ভব। কাস্টমস নিয়ে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিতে চাই। গত অর্থবছরে কাস্টমসে গ্রোথ ছিল ২৭ শতাংশ। এবার তা আরও বেগবান করতে চাই।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যের ওপর আলোচনা করেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেহজাদ মুনীম। তিনি কাস্টমস ডিজিটাইজেশনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে কাস্টমস একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। আঞ্চলিক পর্যায়ে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস এর গ্লোবাল নেটওয়ার্কড কাস্টমস (জিএনসি) এ অন্তর্ভূক্তকরণের ওপর জোর দেন তিনি। কাস্টমস এর আধুনিকায়নের জন্য বেসরকারি খাত সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিস্টেম ডিজিটাল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ