পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার যখন আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে তখন তারা এর বিরোধিতা করছেন। আসলে বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে যদি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে বিএনপি খুশি হবে। বিএনপি বিভিন্ন সভায় বলেছিল আইন করতে সময় লাগে না, দু’দিনেই আইন করা যায়।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে বিএনপিও একটি কথা বলেছিল, তারা প্রেসিডেন্টর সংলাপে যায়নি কিন্তু বিভিন্ন সভায় তারা বলেছিল আইন করতে সময় লাগে না, দু’দিনেই আইন করা যায়। দেশে প্রয়োজনের নিরিখে অতীতে অনেক কিছু হয়েছে। এটিও রাষ্ট্রের প্রয়োজন, তাই সহসা আইন করা প্রয়োজন। আজকে যখন আইন করার উদ্যোগ নিয়েছেন তখন তারা এর বিরোধিতা করছেন। তিনি বলেন, এ আইন কিন্তু এখনো হয়নি এটি একটি প্রস্তাবনা। সংসদের হাউজে উঠেছে, হাউজ থেকে কমিটিতে গেছে। একটু আগে সংসদীয় কমিটির মিটিং হয়েছে, সেখানে বিএনপির প্রতিনিধিরাও ছিলেন। আমি তাদের বক্তব্য টিভিতে শুনছিলাম। সেখানে অনেক কিছু আলোচনা হয়েছে। মিটিং থেকে বেরিয়ে আইনমন্ত্রী ব্রিফ করেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকেও ব্রিফ করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানও ব্রিফ করেছেন। সেখানে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব করেছেন। সেগুলো গ্রহণ করেছেন বলে সংসদীয় কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন। অতএব পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আইনটি করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আসলে বিএনপি চায় বাংলাদেশে একটি ঘোলাটে পরিবেশ তৈরি হোক। বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না। তিন মাস সময় নিয়ে যদি আইন করা হয় তাতেও বিএনপি খুশি হবে না। তখনই বিএনপি খুশি হবে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেয়া হয়। সম্ভবত তখন তারা খুশি হবে। এছাড়া খুশি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। যদিও ৫০ বছরে সেটি হয়নি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সংলাপে বসেছেন। বেশির ভাগ রাজনৈতিক সংগঠনই সংবিধান অনুযায়ী একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছেন। একইসঙ্গে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছিলেন একটি আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের তাগাদা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি আইনের একটি রূপ রেখা তারা দিয়েছেন। তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন এখন আইন করতে গেলে তাড়াহুড়ো হবে। তখন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন প্রেসিডেন্টের অর্ডিনেন্সের মাধ্যমে আইনটি করা হোক। যারা এ কথা বলেছিলেন আইনমন্ত্রীকে তারা এখন আবার গত রোববার জুম মিটিং করে বলেছেন তাড়াহুড়ো করে আইন করা সমীচীন হচ্ছে না।
তিনি বলেন, যারা প্রেসিডেন্টর অধ্যাদেশ করে আইন করার কথা বলেছিলেন আবার কেউ কেউ বলেছিলেন দুই একদিনেই আইন করা যায়। যখন সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে তখন তারা আবার নিজেরা যে অবস্থানে ছিলেন, দাবি দিয়েছিলেন তার বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। তাহলে তাদের উদ্দেশ্যটা কী। তাদের উদ্দেশ্য আসলে সৎ উদ্দেশ্য নয়। এ সমস্ত কথাবার্তা বলে তারা আসলে রাজনৈতিক ক্রিয়ানক হিসেবে কাজ করছেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাড়াতাড়ি আইন করার তাগাদা দিয়েছিলেন, এমনকি প্রেসিডেন্টের অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন করার কথা বলেছিলেন। সরকার যখন এ আইন করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং এ পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তখন তারা অন্য কথা বলছেন। আসলে তাদের উদ্দেশ্য মহৎ নয়, এটিই প্রমাণিত হয়। তারা আসলে পানি ঘোলা করতে চায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।