পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংসদে উত্থাপিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইনে বর্তমান ও আগের নির্বাচন কমিশনকে ইনডেমনিটি দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল সোমবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটি দেয় না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ইনডেমনিটি কারা দিয়েছিল? ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স কারা করেছিল? বরং আওয়ামী লীগই ওই অধ্যাদেশ বাতিল করেছিল।
সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ইতোপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটির ও তৎকর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলি এবং উক্ত অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত বিষয়ে কোনও আদালতে কোনও প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।’ ২০১২ এবং ২০১৭ সালে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রেসিডেন্ট ইসি নিয়োগ করেছিলেন, সে প্রক্রিয়াই আইনের অধীনে আনা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। প্রস্তাবিত এই আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যতা-অযোগ্যতাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
সংসদ ভবনের গেটে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, আইনে দুটো জিনিস আছে। একটা ইনডেমনিটি, আর একটা লিগ্যাল কাভারেজ। দুটো এক নয়। ইনডেমনিটি হচ্ছে মাফ করে দেওয়া, আইনের আওতা থেকে বের করে দেওয়া। লিগ্যাল কাভারেজ হচ্ছে আইনের ভেতরে আনা।
দফা ৯-এ পরিষ্কার পড়ে দেখেন, কারও কৃতকর্মকে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়নি। এই আইন করার ক্ষেত্রে সরকার তড়িঘড়ি করেনি বা গোপনীয়তা ছিল না বলেও দাবি করেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যখনই আইনটি কেবিনেটে পাস হয়েছে তাৎক্ষণিক ল’ লেজিসলেটিভ বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। আর এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আমি তো বুঝলাম না এখানে গোপনীয়তা কোথায়। আইনটা গোপন করে আমার কী লাভ?
বহুল আলোচিত ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ গত রোববার সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। সোমবার বিলটি নিয়ে আলোচনা শেষে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে সংসদীয় কমিটি। সেখানে দুটি বিষয়ে পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।