Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুন করে দশ টুকরা লাশ নদীতে ফেলে দেয় আরিফ

প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : খুন করে দশ টুকরা লাশ কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেয় আরিফ। চট্টগ্রামে মোহাম্মদ মহসিন (৫১) নামে লাইটারেজ জাহাজের এক ক্যাপ্টেন নিখোঁজের একমাস পর তাকে নৃংশসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আরিফুল ইসলাম (১৯) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল জানায়,
খুন করে দশ টুকরা
মহসিনের সাথে তার মা নাজমা বেগমের (৩৮) অবৈধ সম্পর্ক থাকার আক্রোশে মহসিনকে তার বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় পেয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে তার লাশ দুই দিন তাদের ঘরের খাটের নিচে রেখে দেয়। পরে মহসিনের লাশ ১০ টুকরা করে কিছু অংশ ধাপে ধাপে কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেয় এবং কোমর হতে ঘাড় পর্যন্ত অংশটি হালিশহর থানার শারীরিক শিক্ষা কলেজের বিপরীত পাশে বস্তা বন্দি করে ফেলে দেয়। আরিফুলকে গত শুক্রবার নগরীর সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা থেকে ইপিজেড থানা পুলিশ আটক করে। তার স্বীকারোক্তি মতে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত করাত এবং ভিকটিমের ২টি মোবাইলও উদ্ধার করা হয়।
এদিকে হত্যাকা-ের স্বীকারোক্তি পাবার পর তাকে নিয়ে গতকাল (শনিবার) সিএমপি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকা-ের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য। এ সময় ইপিজেড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদও ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, ঢাকার বাসিন্দা মহসিন এমভি সাগরকন্যা নামে একটি লাইটারেজ জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন। জাহাজটি তেল পরিবহন করত। জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙ্গর করলে মহসিন ইপিজেড এলাকায় পোশাক কর্মী নাজমা বেগমের বাসায় থাকতেন। নাজমা বেগমের স্বামী প্রায় ১২ বছর আগে মারা গেছেন। গত ৫-৬ বছর ধরে নাজমা বেগমের সঙ্গে মহসিনের সম্পর্ক চলছিল। নাজমার ছেলে আরিফুলও পোশাক কারখানার কর্মী ছিল।
গত ১৫ জানুয়ারি মহসিনের ভাই ও স্ত্রী ঢাকা থেকে এসে ইপিজেড থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন এবং নাজমা নামে একজনের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক থাকার বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দেন। পরবর্তীতে গত ১৮ জানুয়ারি হালিশহর থানাধীন শারীরিক শিক্ষা কলেজের বিপরীত পাশে বেওয়ারিশ লাশের বস্তা বন্দি খ-িত অংশ পাওয়া গেলে পুলিশ বাদী হয়ে হালিশহর থানায় দঃবিঃ ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে। এরপর পুলিশ নাজমা বেগমকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। নাজমা বেগম বর্তমানে জেলে আছে।
ইপিজেড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মাকে গ্রেফতারের পর আরিফুল থানায় এসেছিল। তাকে একেবারে নরমাল লাগছিল। পরে সে পালিয়ে ঝালকাঠি চলে যায়। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা বিভিন্ন কৌশলে তাকে নগরীতে এনে আটক করেছি। নাজমার শ্বশুরবাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায়। এ ঘটনায় হালিশহর থানায় দায়ের হওয়া মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ইপিজেড থানার মামলাটিকে হত্যা মামলা হিসেবে তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দেবদাস ভট্টাচার্য।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুন করে দশ টুকরা লাশ নদীতে ফেলে দেয় আরিফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ