পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রীর লোকমান হাকীম দাখিল মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়। মাদরাসার সুপার মাওলানা ওলিউল্লাহর ব্যবস্থাপনায় মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন- হযরত আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী পীর সাহেব।
তাফসীরকালে পীর সাহেব বলেন, আমাদের মা আছে, মা ছাড়া কেউ পৃথিবীতে আসতে পারে না আর কুরআন শরীফের মা হল ‘সুরাতুল ফাতেহা’ তাই তাফসীরে এই সুরাকে উম্মুল কুরআন বা কুরআনের মা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই সুরার ৭০টি নাম রয়েছে। কেননা যার যত বেশি গুণ থাকে তত বেশি গুনবাচক বিশেষ্যও থাকে। এই সুরাকে সুরাতুশ শাফী বলা হয়, কেননা এই সুরা পাঠে বিভিন্ন রোগ আরোগ্য লাভ করে। বিভিন্ন নিয়মে এই সুরা পাঠ করলে যত কঠিন রোগই হোক না কেন, শেফা লাভ করবেই ইনশাল্লাহ। এই সুরাকে সুরাতুল কাফীও বলা হয়। কামেল পীর ওলিদের মাধ্যমে ক্ষেত্র বিশেষে এই সুরার আমল করলে আল্লাহর রহমতে আপনাদের যে কোন আশাপূরণ ও সমস্যার সমাধান হবে ইনশাল্লাহ।
পীর সাহেব বলেন, আল্লাহ তায়ালা এই সুরায় ৭টি হরফ বিভিন্ন কারণে দেননি। যথা- ছে, জিম, খে, যে, শিন, জই, ফে। অতঃপর তিনি ইহার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, যারা এই ৭ অক্ষর বিহীন সুরা ফাতিহা নামাজে পাঠ করবেন, আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ধ্বংস করবেন না, জাহান্নামে দিবেন না, বেইজ্জত করবেন না, দোজখিদের খাদ্য যাক্কুম থেকে রক্ষা করবেন, বদবখত বলে ডাকবেন না, ইহ-পরকালে অত্যাচার করবেন না এবং আল্লাহর মহব্বত থেকে জুদা করবেন না।
সর্বকালে, সর্বস্থানে নামাজী এই সুরা পাঠের উছিলায় সর্ব প্রকার দুঃখ কষ্ট থেকে নাজাত পাবেন। সর্বশেষ পীর সাহেব মোহাম্মদপুরে তার প্রতিষ্ঠিত আদর্শ ইসলামী মিশন মহিলা কামিল মাদরাসায় যারা ভর্তি হবে তাদের থাকা খাওয়া যাবতীয় কিছু ফ্রি করে দিবেন বলে ঘোষণা দেন। অতঃপর সমবেতদেরকে তওবা করিয়ে আখেরি মুনাজাত করেন। যোগাযোগ : ০১৭৩২৩০২২৮৬ ই-মেইল : ধরসসশস১০৮২৪৬@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।