পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : সকালের সোনালী রোদের হাসি যেমন দিনের আবহাওয়ার কথা বলে দিতে পারে না, তেমনি কোনো কিছুর পুরাটা না দেখে অনুমান করা যায় না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হলেও শেয়ারবাজারে বিদ্যমান রয়েছে এ ধারা। তেমনি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে শুরুতে আলোর ঝলকানি থাকলেও শেষ ভাগে এসে নিভে যায় তা।
এদিকে, জুন ক্লোজিং সম্পন্ন হওয়া প্রায় ১০০ টিরও বেশি কোম্পানি গত চার পাঁচ কার্যদিবস সম্মিলিতভাবে ডিভিডেন্ড ঘোষণা ও প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে কোম্পানিগুলোর ঘোষিত ডিভিডেন্ডে বিনিয়োগকারীরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হওয়ার পতন অব্যাহত রয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, কোম্পানিগুলোর হিসাব বছর শেষে সাধারণত বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ডের উপর কিছুটা ঝোঁক থাকে। ডিভিডেন্ডের ওপর নির্ভর করে শেয়ার ক্রয় বিক্রয় হয়ে থাকে। আর সেই কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে আশানুরুপ ডিভিডেন্ড না পাওয়ায় শেয়ার বিক্রি করতে থাকে। কেননা বাজারে বড় বিনিয়োগের খুব একটা প্রভাব না থাকলেও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ভালো ডিভিন্ডেড দেয়া কোম্পানিগুলোকে বেছে নিয়েছেন। আর অল্প পুঁজি নিয়ে লাভের আশায় এসব কোম্পানিতে ঝুঁকলে, বাকী কোম্পানিগুলোর দরপতন অব্যাহত ছিল। তাই পরবর্তীতে এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য একদিনে এত কোম্পানির ডিভিডেন্ড না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। এর ফলে টানা ৫ম দিনের মতো নিম্নমুখী ধারা বিদ্যমান রয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এদিন শুরুতে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও ৪০ মিনিট পর টানা বাড়তে থাকে সূচক। এবং দেড় ঘন্টা পর সেল প্রেসারে টানা পতনের কবলে পড়ে বাজার। সোমবার সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকেও লেনদেন কিছুটা কমেছে। গতকাল দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮৯ কোটি টাকা। সোমবার দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৫৯২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৬৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১০০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭৩৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ১৬১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৮৯ কোটি ৩০ হাজার টাকা। এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স তার আগের দিনের চেয়ে ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪৬০৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১১০০ পয়েন্টে এবং ডিএসই –৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৭৩৪ পয়েন্টে। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৪৫৭ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্রড ইনডেক্স ২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮৫৭৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৪৫টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১০টির, কমেছে ১১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। আর দিনশেষে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৩৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।