তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে প্রায় ৩১ কোটি টিকা এসেছে এবং প্রায় ৯ কোটি টিকার মজুদ রয়েছে। সবাইকে টিকা গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শেখ রাসেল চত্বরে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ সম্পর্কিত সচেতনতামূলক প্রচার ও মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এরপর জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে নবীন আইনজীবীদের বরণ ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে যারা দেশ-বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র করছে, তারা র‌্যাবের ভূমিকা নিয়ে অনেক কথা বলছে। অথচ এই র‌্যাব মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। সে কারণে মাদক-সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ অনেক উন্নত দেশের তুলনায় কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। যারা আজকে র‌্যাবের ভূমিকা নিয়ে কথা বলছেন, তারা আসলে চান এখানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য হোক এবং মাদক আরো ছড়িয়ে পড়ুক। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে এভাবে তারা ঢালাওভাবে কথা বলতে পারেন না।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বার কাউন্সিলের এডহক কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক। এডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, র‌্যাবের কোন সদস্য যদি ভুল করেন তাদের বিচার হয়েছে এবং হয়। র‌্যাবকে অব্যাহতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের অনেক দেশ কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। ২০০৪ সালে বেগম খালেদা জিয়াই র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারা যখন সহায়তা দিয়েছে র‌্যাব তো তখন থেকে কাজ করছে, তখন তো এ প্রসঙ্গগুলো আসেনি। এখন কেন আসছে, এটার পেছনে নিশ্চয়ই কিন্তু আছে।
তিনি বলেন, যখন কোন দেশ এগিয়ে যেতে থাকে তখন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তি সেই দেশের পা টেনে ধরতে চায়। এ জন্য তখন মানবাধিকারসহ বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে। অথচ তাদের দেশে মানবাধিকারের কোন খবর নেই। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিখোঁজ হয়, গুলিতে মৃত্যুবরণ করে। সেগুলো নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো কখনো বিবৃতি দেয় না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার দেশে ন্যায় ও আইনের শাসন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ, ন্যায় ও জ্ঞানভিত্তিক বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। যারা বন্দুক উঁচিয়ে গণতন্ত্র হরণ করে মানুষের লাশের ওপর পা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশ পরিচালনা করেছে তারা যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে তখন মানুষ আবার সেই অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনতে পায়, আতঙ্কিত হয়।