পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি ভালো অবস্থানে থাকলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেরই নানা অনিয়ম ও ঋণ জালিয়াতির কারণে নাজুক অবস্থা। এনবিএফআই’র বিতরণ করা প্রতি ১০০ টাকা ঋণের প্রায় ১৮ টাকাই এখন খেলাপি। যার বেশিরভাগই আবার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড, প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি), ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ফাস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের। এই ছয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিক খেলাপি, প্রভিশন ঘাটতি ও মূলধন ঘাটতির কারণে খাদের কিনারে অবস্থান করছে। গত কয়েক বছরে প্রতিষ্ঠানগুলোর কেলেঙ্কোরি ছিল আলোচিত ঘটনা। অভিযোগ রয়েছে, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো, যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালকসহ বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে। যার কারণে বিতরণকৃত ঋণের টাকা ফেরত আসছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে ঋণ দেয়ায় বিপাকে প্রতিষ্ঠানগুলো। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের আর্থিক খাতে। বিশ্লেষকদের মতে, আগামীতে ব্যাংক বর্হিভূত এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লুটপাট বন্ধে নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনা।
২০১৮ সালের শুরুতে, এক লাখে দুই লাখ হবে এমন আশ্বাসে পিপলস লিজিংয়ে ২০ লাখ টাকার পাঁচ বছর মেয়াদি আমানত রেখেছিলেন মোর্শেদা ইসলাম। পাঁচ বছর পর এখন লাভ তো দুরে থাক, আসল ফিরে পেতেই দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। শুধু একজন মোর্শেদা নয়, এমন মানুষের সংখ্যা এখন অনেক। গেল বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ দেয়া ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্য ১২ হাজারই খেলাপি। এর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের খেলাপি সবচেয়ে বেশি। পিকে হালদারের প্রতিষ্ঠানসহ একাধিক ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে চার হাজার ৪২ কোটি টাকা ঋণ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এখন অনাদায়ী তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি। প্রশান্ত কুমারের খপ্পরে পড়া এই প্রতিষ্ঠানের ৯০ শতাংশই এখন অনাদায়যোগ্য খেলাপি ঋণ। লুটপাটে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হলেও তারা পলাতক। অবসায়নের দিকে যাওয়া আরো দুই প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট আর ফাস ফাইন্যান্সও ধুঁকছে খেলাপি ঋণের ভারে।
সম্প্রতি রুগ্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব পাওয়া অর্থনীতিবিদ নুরুল আমিন বলেন, লুটপাট হওয়া নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর ভূমিকাই বেশি ছিলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।