পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ১৭ জেলেকে জিম্মি করে একজনকে সাগরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ১৫ নৌদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। অপহৃত ১৬ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার ১৫ জনের মধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও কক্সবাজারের পেকুয়া-কুতুবদিয়া উপকূলীয় এলাকায় নৌদস্যু কবির বাহিনীর প্রধান এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড আছেন বলে র্যাব জানিয়েছে।
গতকাল সকাল পর্যন্ত টানা ২৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাদের পাকড়াও করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ। দস্যুদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৬টি ওয়ানশ্যুটার গান, ৪টি কার্তুজসহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫ জন হলো- নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান, মো. মামুন, নুরুল কবির, আব্দুল হামিদ, আবু বক্কর, মো. ইউসুফ, গিয়াস উদ্দিন, সফিউল আলম মানিক, আব্দুল খালেক, রুবেল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম জিকু মো. সুলতান এবং মনজুর আলম। এদের মধ্যে নুরুল কবির নৌদস্যু বাহিনীর প্রধান এবং মামুন তার সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে র্যাব জানিয়েছে। র্যাব জানায়, মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যাওয়া ১৭ জন জেলেকে গত ১৪ জানুয়ারি জিম্মি করে কবিরের বাহিনী। তাদের আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। জেলেদের পরিবার মুক্তিপণ হিসাবে দুই লাখ টাকা দেয়। কিন্তু এরপরও বাকী টাকার জন্য তাদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত রাখে। নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে আনোয়ার নামে এক জেলেকে গত ১৬ জানুয়ারি তারা সাগরে ফেলে দেয়। আনোয়ারের আর হদিস পাওয়া যায়নি। অপহৃত জেলের পরিবারের সদস্যরা বরিশালে র্যাবের শরণাপন্ন হন। বরিশাল থেকে তথ্য পাওয়ার পর র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সদস্যরা জানতে পারেন, বাঁশখালী-পেকুয়া-কুতুবদিয়াকেন্দ্রীক নুরুল কবিরের বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের অপহরণ করেছে। এরপর তাদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে র্যাব।
এই দস্যু বাহিনী গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কক্সবাজারের চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকূলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
সাগরে জেলেদের মাছ লুট, অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করতো। সাগরে ফেলে দিয়ে অনেক জেলেকে হত্যার অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।