পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে মধ্যরাতে বেপরোয়া গতিতে চালানো গাড়ি থেকে মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন মডেল-অভিনয়শিল্পী অর্চিতা স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গণ দত্ত অর্ঘ্য। পুলিশের দাবি, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পথ আটকানোর পর সড়কেই ঘণ্টাখানেক মাতলামি করেন তারা। পরে তাদের ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাতেই মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন উভয়ে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে ধানমণ্ডি সাতমসজিদ সড়কে বেপরোয়া গতিতে একটি লেক্সাস মডেলের (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৭-৪০৭২) গাড়ি যাচ্ছিল। ইউনিমার্টের সামনে পুলিশ গাড়িটি থামায়। তখন চালকের আসনে ছিলেন প্রাঙ্গণ দত্ত অর্ঘ্য। তার পাশে বসেন স্পর্শিয়া। দুই জনই মদ্যপ অবস্থায় মাতলামি ও কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণ করতে থাকেন। এ সময় দ্রুতগতির আরেকটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। তারা ধানমণ্ডি থানার এসআই মাহবুবের ওপর চড়াও হন। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তাদের থানায় নিয়ে যেতে বলা হয়। তবে স্পর্শিয়া ও অর্ঘ্য থানায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গাড়ির ব্যাকডালা খুলে সেখানেই বসে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে যায়। এরপর স্পর্শিয়া ও অর্ঘ্যের স্বজনরা মুচলেকা দিয়ে উভয়কে ছাড়িয়ে আনে।
ধানমণ্ডি থানার এসআই মাহবুব বলেন, আমরা বেপরোয়া গতির একটি গাড়িকে চ্যালেঞ্জ করি। অর্ঘ্য নামে একজন এটি চালাচ্ছিলেন। গাড়িতে স্পর্শিয়াও ছিলেন। তারা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। প্রাথমিকভাবে তাদের স্বাভাবিক মনে হয়নি। পরে ঊর্ধ্বতন অফিসারদের নির্দেশে তাদের থানায় নিয়ে যাই। পরে মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেয়া হয়।
প্রাঙ্গণ দত্ত অর্ঘ্য মুচলেকায় বলেন, আমি গাড়িটি থামিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যাই এবং পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করি। আমি মদ্যপ অবস্থায় আছি কিনা পুলিশ জানতে চাইলে, অল্প মদ পান করেছি বলে জানাই এবং এটাও বলি আমার মদপানের লাইসেন্স আছে। পুলিশকে তৎক্ষণাৎ লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ হই। মদ্যপ অবস্থায় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এবং পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হওয়ায় থানার ঊর্ধ্বতন অফিসার আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলে থানায় যেতে বলেন। আমি গাড়িসহ থানায় হাজির হই।
অর্ঘ্য মুচলেকায় যোগ করেন, এই মর্মে মুচলেকা দিচ্ছি যে ভবিষ্যতে এমন কার্যকলাপ আর করবো না। অতিরিক্ত গতিতে আর গাড়ি চালাবো না। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধানমণ্ডি থানার ওসি কাছে দেওয়া এই মুচলেকায় স্বাক্ষর করলাম।
ধানমণ্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে প্রাঙ্গনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গাড়িতে স্পর্শিয়া ছিল। তারা পুলিশের সঙ্গে অসাদচারণ করেন। এ কারণে তাদের থানায় নেওয়া হয়েছিল। রাতেই মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তাদের।
জানা গেছে, প্রাঙ্গণ দত্ত অর্ঘ্যের বাবার নাম প্রদীপ কুমার দত্ত। তিনি সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ২০১৬ সালে অবসর নিয়েছেন। সিদ্ধেশ্বরীর অপ্সরা অ্যাপার্টমেন্টে বাবার সঙ্গে থাকেন প্রাঙ্গণ। নিজেকে একজন সিআইপি হিসেবে দাবি করলেও প্রাঙ্গণ কী ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তা জানা যায়নি।
অপরদিকে অর্চিতা স্পর্শিয়া ২০১১ সালে একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে বিনোদন অঙ্গনে নিজের নাম লেখান। তিনি টিভি নাটকের পাশাপাশি একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০২০ সালে ‘নবাব এলএলবি’ ছবিতে পুলিশকে হেয় করে সাজানো একটি দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য আলোচনায় আসে তার নাম। তখন ছবিটির পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহিন মৃধাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।