উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে হিমালয় পাদদেশ ছুঁয়ে আসা ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বইছে হিমেল কনকনে হাওয়া। সেই সঙ্গে বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে মাঝারি ও ঘন কুয়াশা অব্যাহত রয়েছে। আজ শনিবারও নদ-নদী অববাহিকাসহ বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। বিভিন্ন জেলায় ঘন কুয়াশার সাথে হাড় কাঁপানো বাতাসে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নওগাঁয় ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৪ এবং সর্বোচ্চ ২৪.৮ ডিগ্রি সে.। চট্টগ্রামে যথাক্রমে ১৫.৩ এবং ২৫.৩ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ২৭ ডিগ্রি সে.। আকাশে আংশিক ও বিক্ষিপ্ত মেঘ থাকলেও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের কোথাও বৃষ্টি ঝরেনি।
আজ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, খুলনা বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।