পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার বন্ধে ডিসিদের আরো তৎপর হবার আহবান জানিয়েছেন। গতকাল ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ডেপুটি কমিশনারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি।
এরপর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিসিদেরকে ‘মাঠ পর্যায়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নকারী মাঠ প্রশাসনের প্রাণ’ হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে সাড়ে আট থেকে নয় কোটির কাছাকাছি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে, এ সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রচারের একটি বড় ক্ষেত্র এবং অপপ্রচার, গুজব রটানোরও একটি বড় ক্ষেত্র। আমরা গত ৭-৮ বছরের পরিসংখ্যানে দেখতে পাই, আমাদের দেশে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে যে সমস্ত গুজব রটানো হয়েছে, অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, স্থানীয়ভাবে বিশৃঙ্খলা থেকে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা হয়েছে, প্রায় সবগুলোই এই মাধ্যমে করা হয়েছে। ডিসিদের কাছে আমরা সে বিষয় তুলে ধরেছি, তারা যেন এ ব্যাপারে সবসময় তৎপর থাকেন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ডেপুটি কমিশনারবৃন্দ গতবছরের পয়লা অক্টোবর থেকে বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত স¤প্রচার ক্লিনফিড বাস্তবায়নে যেভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। এখনও এ ব্যাপারে তাদেরকে নজর রাখতে বলেছি। কেবল নেটওয়ার্ক যারা পরিচালনা করে তারা যাতে কোনক্রমেই স্থানীয়ভাবে টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে কোনো অনুষ্ঠান কিংবা বিজ্ঞাপন প্রচার না করে সেটি এবং পত্রিকা প্রকাশের ক্ষেত্রেও আইনের বিধিবিধান অনুসরণ নিশ্চিত করতে বলেছি।
পরে, দুপুরে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী হাছান মাহমুদের সাথে বৈঠকে বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন এটকো নেতৃবৃন্দ তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী এসময় মন্ত্রীকে একটি স্মারকপত্র দেন। ইকবাল সোবহান বলেন, এটকোর দাবি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ভিডিও সংবাদ প্রচারে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেয়ার বিধান করা এবং আইপিটিভিতে সংবাদ প্রচার এবং ইউটিউবের মাধ্যমে পত্রিকার সংবাদ প্রচার বন্ধ করা।
তথ্যমন্ত্রী এটকোর দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, ‘স¤প্রচার নীতিমালা অনুযায়ী কোনো আইপিটিভি সংবাদ প্রচার করতে পারে না। এছাড়া, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে এগুলো স¤প্রচার নীতিমালার পরিপন্থি। যে সমস্ত সংবাদপত্র ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করছে তাদের সেটার কোনো অনুমতি নেই। অনুমোদনহীন কিছু করা বেআইনী। আমরা সে ব্যাপারেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন, আমরা চাহিদার প্রেক্ষিতে পত্রিকার অনলাইন ভার্সনগুলোকে অনুমোদন দিয়েছি। সেটিতে শর্ত ছিলো, প্রিন্ট আকারে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়, সেটাই শুধু অনলাইনে যাবে। সেখানে ইউটিউব চ্যানেল জুড়ে দিয়ে সংবাদ প্রচার কিংবা টকশো করার কথা নয়। এগুলোর যেহেতু অনুমোদন নেই, আপনাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এটকো পরিচালকদের মধ্যে এটিএন চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, বাংলাভিশনের আব্দুল হক, দীপ্ত টিভির কাজী জাহিদুল হাসান, সময় টিভি’র আহমেদ যোবায়ের, ডিবিসি নিউজের এম মঞ্জুরুল ইসলাম, নাগরিক টিভি’র নাভিদুল হক এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: মিজান-উল-আলম ও খাদিজা বেগম প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।