পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বোদা (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বাজারগুলোতে শীতকালীন শাকসবজি উঠতে শুরু করেছে। আর এই শীতকালীন শাকসবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ক্ষেতের পাশাপাশি অনেকেই বাড়ির আঙ্গিনায় শীতকালীন শাকসবজি চাষ করছেন। শীতকালীন শাকসবজি চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষকদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন এই পেশার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। সরেজমিন বোদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই শীতকালীন শাকসবজির ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও অংশ নিচ্ছেন এ কাজে। বাবা-মাকে তাদের ছেলে-মেয়েরাও বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করছে। অনেককেই ক্ষেত থেকে শীতকালীন সবজি তুলে বাজারজাতকরণের প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। এ সময় কথা হয় উলিপুকুরী গ্রামের কৃষাণি মর্জিনা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, আমি এ বছর লাউ, লালশাক, মুলা ও ফুলকপি, বাঁধাকপি চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত আমি কোনো শাকসবজি বিক্রি করিনি। তবে গত বছর শীতকালীন শাকসবজি চাষ করে লাভবান হয়েছিলাম। এতে ১০ হাজার টাকা খরচ করলে ২০ হাজার টাকা লাভবান হই। সংসারের যাবতীয় খরচ এবং ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ এর ওপর নির্ভর করে।
আরো কথা হয় মানিকপীর ছেতনাইপাড়ার মতিয়ার রহমানের সাথে। তিনি বলেন, আমি শিক্ষকতা করি। পাশাপাশি শীতকালীন শাকসবজি চাষ করে লাভবান হয়েছি। এ দিকে উপজেলার বোদা বাজার, ময়দানদীঘি ও সাকোয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে উঠেছে শীতকালীন শাকসবজি। আর এই শীতকালীন শাকসবজি কিনছেন ক্রেতারা। তবে দাম তুলনামূলক বেশি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন সরবরাহ কম, তাই দামও বেশি। বেগুন ৪০ টাকা, ফুলিকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশী লাউ ৩০ টাকা পিস, লালশাক ১০ টাকা থেকে ২০ আঁটি বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা হয় বোদা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ীর সাথে। তিনি বলেন, বাজারে শীতকালীন শাকসবজি উঠতে শুরু করেছে। তবে দাম বেশি। বাজারে এখন শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি। তাই দামও বেশি।
তবে কয়েকদিনের মধ্যে দাম কমবে। বাজারে শীতকালীন শাকসবজি কিনতে আসা তরিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতার সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমি শীতকালীন শাকসবজি কিনেছি, তবে দাম বেশি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আল মামুন অর রশিদ বলেন, কৃষকরা শীতকালীন শাকসবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তবে আগাম শীতকালীন শাকসবজি চাষ করে বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। শীতকালীন শাকসবজিতে খরচ কম, লাভ বেশি। এ উপজেলায় কিভাবে আরো শীতকালীন শাকসবজির উৎপাদন বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।