পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কথায় বাজার চলছে না। তিনি ‘তেলের দাম বৃদ্ধি করা হবে না’ দাবি করলেও বাস্তবে বাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে। দাম বাড়িয়ে দিয়েই সচিবালয়ে বৈঠক করতে গেছেন ব্যবসায়ীরা। লিটার প্রতি ৭ টাকা বেশি দরে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোজ্য তেলের দাম বাড়ছে না। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী যেসব ব্যবসায়ীর সঙ্গে বৈঠক করেন তারা ভোজ্য তেলের দাম দুই সপ্তাহ আগে বাড়িয়ে দিয়ে বৈঠকে বসেছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সবকিছু বিবেচনা করে যেটা সুবিধাজনক হয় সেটি করা হবে। আপাতত বাড়ছে না ভোজ্য তেলের দাম। তারা নিজেরা নিজেরা কিছু দাম বাড়িয়েছিলেন আমাদের না জানিয়ে। সেটাও তারা বলেছেন যে, কনসিডার করবেন। আমাদের ভোজ্য তেল আমদানিকারকরা বারবার বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। সে ক্যালকুলেশনে এটা ফিক্সআপ করি, সেখানে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। আমার অসুস্থতার জন্য তারা অপেক্ষা করেছেন। আলোচনায় তেমন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা বলেছি, এখন যে দাম আছে তার থেকে কিছুটা হলেও কমাতে চেষ্টা করুন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করব। এজন্য আন্তর্জাতিক মার্কেট, ডিউটি স্ট্রাকচার ঠিক করে সিদ্ধান্ত নেব।
সামনে তেলের দাম কমার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, এটা এই মুহূর্তে বলা ঠিক হবে না। সেজন্য এক্সপার্ট আছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতও তেল আমদানি করে। তাদের দাম কত? তাদের মার্কেটে এখন তেল ১৭০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে বলে শুনেছি। এমন কিছু গ্রো করতে পারি না, যাতে জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে। ভারতের সুবিধা তাদের ডিউটি স্ট্রাকচার আমাদের তুলনায় কম। আমাদের এখানে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ সেখানে তাদের ৫ শতাংশ।
টিসিবি অপারেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিসিবির অপারেশন রমজান মাসে ৪০০ ট্রাক করি, এবার ৭ থেকে ৮শ করছি। বিশ্ববাজারে তেলের দামটা একই রকম আছে। বিভিন্ন ফ্যাক্টর আছে, যদি এই কয়দিনে দেখি দাম ৫০ ডলার কমেছে সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
রোজার সময় দামের বিষয়ে তিনি বলেন, সামনে রমজান-ঈদ আছে। সেজন্য তাদেরকে অনুরোধ করেছি, তারা স্বাভাবিকভাবে এলসি ওপেন করবে। এরপর বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব। আমরা কথায় কথায় আল্লাহর কথা বলি, কাজের সময় উল্টোটা করি। এতে মানুষের ভোগান্তি হয়। পৃথিবীজুড়ে এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় ডিসকাউন্ট চলে, আমাদের এখানে উল্টোটা, ঈদ এলেই দাম বাড়ে।
গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন বছরের শুরুতেই ভোজ্য তেল লিটারে ৭ টাকা বেড়েছে। জানতে চাইলে দোকানীরা বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর কথায় বাজার চলে না। তিনি বাজারের খোঁজ রাখেন না। যাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তারাই দাম বাড়িয়ে দিয়ে বৈঠকে গেছে। যাত্রাবাড়ি বাজারের এক দোকানী বলেন, আমরা বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করতে পারব না। যে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী একের পর এক বৈঠক করেন তারাই সিণ্ডিকেট করে ভোজ্য তেলসহ সবকিছুরই দাম বাড়িয়ে দেন।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্য তেল সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য বাড়ানোর জন্য চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে ৮ জানুয়ারি থেকে দাম বাড়ানোর বিষয়ে জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ট্যারিফ কমিশনে পাঠায়। এখন এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১শ’ ৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১শ’ ৩৬ টাকা নির্ধারিত আছে। ৮ টাকা দাম বাড়িয়ে ১শ ৬৮ টাকা দাম নির্ধারণের দাবি জানানো হয় চিঠিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।