পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে করোনা মহামারির মধ্যেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ড জানিয়েছে, সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে ২০২১ সালে দেশের ১৬৭টি চা বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। যা ২০২০ সালের চেয়ে ১ কোটি ১ লাখ ১১ হাজার কেজি। শতাংশ হিসাবে এক বছরে উৎপাদন বেড়েছে ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক বছরে এতো বেশি চা উৎপাদন হয়নি। চা বোর্ড বলছে, শুধুমাত্র উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকেই গত বছরে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে; ২০২০ সালে যা ছিল ১ কোটি ৩ লাখ টন।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সকল চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। সরকারের আর্থিক প্রণোদনা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ প্রদান, বাগান মালিক ও শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, চা শ্রমিকদের মজুরি, রেশন এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের ফলে ২০২১ সালে দেশের চা উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতেও উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, চা শিল্পের সক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরাঞ্চলে চা চাষীদের ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলের মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে শুধুমাত্র সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে গত বছর আগের চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে দেশে ৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। ২০১৯ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।