পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যখনই এদেশের বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় আসে, তখনই অকারণে তাদের বুলেটে আমার কৃষক ভাইয়ের বুক বিদ্ধ হয়। শ্রমিক-মেহনতি মানুষের সামনে নেমে আসে অন্ধকার। কেন তা সবাই জানে। যে কারণে ইতোমধ্যে মানুষের ভালোবাসা থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে। এর চূড়ান্ত প্রমাণ আগামী নির্বাচনে তারা পাবে।
গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কৃষক লীগ আয়োজিত ‘কৃষক বাঁচাও, বাঁচাও দেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ’ শীর্ষক কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার হাতে বাংলাদেশ থাকলে এদেশের কৃষকসমাজ মায়ের কোলে থাকবে। তার দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা এমনটাই আশ্বস্ত করেছে আমাদের। এমনকি কৃষকদেরও।
কৃষকদের প্রতি আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার অবিচল বলে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষকদের জন্য কী করেছি তার প্রমাণ আওয়ামী লীগ-বিএনপি সরকারের ক্ষমতাকাল তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যাবে। সারের দাম বৃদ্ধিসহ নানা রকম দুর্নীতি করে তারা কৃষককে নিরন্ন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষকের পাশে থেকেছি। সবার আগে সেটাই বিবেচনা করেছি। কারণ অমারা জানি কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেই ২০১৯ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এদেশের প্রায় সত্তর ভাগ মানুষ কৃষিজীবী। বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি সবকিছু নির্ধারিত হয় এই কৃষি দ্বারা। তাই কৃষকের মূল্য আমরা বুঝি।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার কৃষকদের জন্য কিছু করেনি বরং সারের দাম বৃদ্ধি ও নানা দুর্নীতি করে কৃষকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা তা থেকে উন্নত অবস্থায় এনেছি। বিশ্বাস করি এই সরকার কৃষকদের দেশের সার্বিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে যাবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, যখন মানুষ আশান্বিত তখন বিএনপির নেতারা হতাশ হয়। কারণ এরা এদেশের উন্নয়ন পছন্দ করে না। সম্মেলনে সারা দেশের মানুষ যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে এই ধারাবাহিকতা যদি অব্যাহত থাকে তবে এই লুটেরা বিএনপি আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না।
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন এবং তারা নির্বাচন পরিচালনা করবে। বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, যদি জনগণের প্রতি আস্থা থাকে তবে নির্বাচনে আসবেন। সেখানে বোঝা যাবে এদেশের মানুষ কাদের চায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো: মোতাহার হোসেন মোল্লা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।