পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাল ভোটের অভিযোগে ট্রাম্প সমর্থক গ্রেফতার
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন নির্বাচনের আর বাকি ১০ দিন তার আগে নতুন করে শুরু হওয়া হিলারির ই-মেইল বিতর্ক নিয়ে বেশ খোশ মেজাজেই আছেন রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য উপযুক্ত নন হিলারি’।
হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের নিয়ে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর নতুন করে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে ট্রাম্পকে। কলোরাডোতে এক জনসভায় ট্রাম্প বলেন, ‘হিলারির ই-মেইল কেলেঙ্কারি এক ধরনের দুর্নীতি যা আমাদের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে’। ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, ‘বিচার বিভাগে কর্মরত সকল কর্মকর্তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কতৃক নিয়োগপ্রাপ্ত তাই তারা হিলারির পক্ষেই কাজ করবে। এমনকি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চায় না এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি তার নতুন রিপোর্ট প্রকাশ করুক’। ট্রাম্প বলেন, ‘যখন ভোটের ফলাফল নির্ধারিত হয়েই গেছে। নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া যখন কারচুপিতে ভরপুর তখন মানুষ তাদের আশা ছেড়েই দিয়েছে। এমনকি তাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে’। রিপাবলিকান নেতা আরো বলেন, ‘হিলারি ক্লিনটনের দুর্নীতি আমাদের জাতির জন্য ক্ষতিকর। তার এমন দুর্নীতি থামানো দরকার’।
তবে ট্রাম্প হিলারির নতুন ই-মেইল বার্তা ফাঁস হওয়া নিয়ে যতোই খোশ মেজাজে থাকুক না কেন ২০০৫ সালে তার ফাঁস হওয়া অডিও টেপ এরই মধ্য তার সর্বনাশ ডেকে এনেছে। দেশজুড়ে চালানো জরিপেও দেখা গেছে ট্রাম্প হিলারির থেকে বেশ পিছিয়ে রয়েছেন। হিলারিকে ঠেকাতে ট্রাম্পের জন্য সবথেকে যা প্রয়োজন ছিল তা হল রিপাবলিকানদের সমর্থন। যা ট্রাম্পের নেই। এদিক থেকে বেশ সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছেন হিলারি।
জাল ভোটের অভিযোগে ট্রাম্প সমর্থক গ্রেফতার
ভোট জালিয়াতি হবে এমন দাবি তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ তারই সমর্থক ভোট জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোটে জালিয়াতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নারী সমর্থক। ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের এটিই প্রথম জালিয়াতির ঘটনা।
জালিয়াতিতে অভিযুক্ত টেরি রোট (৫৫) রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে দুবার ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার আইওয়ার রাজধানী দেস মইনেসের দুটি পৃথক ভোটকেন্দ্রে তিনি এই প্রচেষ্টা চালান। ওই দিন টেরি রোট প্রথম ভোট দেন পল্ক কাউন্টির নির্বাচনী কার্যালয়ে। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি কাউন্টির অপর একটি ভোটকেন্দ্রে যান এবং আবার ট্রাম্পকে ভোট দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনওয়াই ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, টেরি রোটে ‘ক্লাস ডি’ মাত্রার অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন। এই অপরাধে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদ- হতে পারে। পল্ক কাউন্টির রেকর্ড সূত্রে জানা গেছে, টেরি রোটেকে প্রথমে সেখানকার কারাগারে নেয়া হয়। পরে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলারে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। টেরি রোটের জালিয়াতির অভিযোগ এমন সময়ে এলো, যখন নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দাবিতে তিনি শুধু জয়ী হলেই ফল মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। -সূত্র : বিবিসি, সিএনবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।